কলকাতা: মুখে পড়েছে আলগা চুল, চোখে দৃপ্ত দৃষ্টি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ফটোশ্যুটের ছবি শেয়ার করেন ত্রিধা চৌধুরী। ক্যাপশানে লিখলেন ভালোবাসার কথা। উস্কে দিলেন জল্পনা নাকি নতুন কোনও ইঙ্গিত দিলেন সম্পর্ক নিয়ে।


নুসরত নিখিলের বিচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে আসার পাশাপাশিই জল্পনা শুরু হয়েছে নিখিল জৈন ও ত্রিধা চৌধুরীর সম্পর্ক নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরের পোস্টে হামেশাই যাতায়াত তাঁদের। তবে একে নিছকই স্বাভাবিক বন্ধুত্বের নাম দিয়েছেন নিখিল-ত্রিধা। নেটিজেনরা কিন্তু তাঁদের পোস্টের অর্থ খুঁজেছেন। কিছুদিন আগেই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ত্রিধা লিখেছেন, 'বিষাক্ত দাম্পত্যের' কথা। নেটিজেনগের আন্দাজ, সেই পোস্টে নিখিল-নুসরতের সম্পর্ক নিয়ে পরোক্ষ বার্তা দিয়েছিলেন ত্রিধা।


আজকে নিজের ছবি শেয়ার করে ত্রিধা লিখছেন, 'স্বাধীনতা ছাড়া ভালোবাসার কোনও অস্তিত্ব নেই।' ত্রিধার প্রায় প্রত্যেক ছবিতেই ইনস্টাগ্রামে লাইক করেন নিখিল। সূত্রের খবর, ত্রিধার কলেজে সিনিয়ার ছিলেন নিখিল। তবে তাঁদের নাকি দেখা হয়েছিল একবারই। একে অপরকে নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ নিখিল-ত্রিধা। আপাতত পরিবারের সঙ্গে, অনুষ্ঠানে সময় কাটাচ্ছেন নিখিল।


অন্যদিকে নিজেদের মত করে সময় কাটাতে ব্যস্ত যশ দাশগুপ্ত ও নুসরত জাহানও। সম্প্রতি নিজেই নিজের বেবি বাম্পের ছবি পোস্ট করেছিলেন নুসরত। সাদা কালো প্রিন্টের পোষাকে সবুজের কোলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন নুসরত জাহান। এলো চুল ছুঁয়েছে কাঁধ। যতই বিতর্ক থাকুক না কেন তাঁকে নিয়ে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিনই নিজেকে একটু একটু করে মেলে ধরছেন অভিনেত্রী সাংসদ। ক্যাপশানে ঘরে ফেরার কথা আর ছবি জুড়ে এই প্রথমবার স্পষ্ট নুসরতের বেবি বাম্প। রাখঢাক নয়, নুসরতের ছবি বলে দিচ্ছে, মাতৃত্ব তাঁর কাছে গর্বের।


সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রায় প্রত্যেকটি পোস্টই ইঙ্গিতপূর্ণ, অথচ অনুরাগীদের করা একাধিক প্রশ্নের কোনও উত্তর দেন না তিনি। নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে সযত্নে আড়ালেই রেখেছেন যশ দাশগুপ্ত। নির্বাচনের ফলাফলের পর আপাতত রাজনীতি থেকে দূরেই রয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় কখনও পুরনো ছবি অথবা কখনও ছুটি কাটানোর ছবি শেয়ার করেন অভিনেতা। আর তাঁর প্রায় প্রত্যেক ছবির নীচেই জ্বলজ্বল করে নুসরত জাহানের ভালোবাসা চিহ্ন!


কিছুদিন আগেই পাহাড়ে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন যশ-নুসরত। ফের কি একসঙ্গে নিভৃতে সময় কাটাচ্ছেন অভিনেতা-অভিনেত্রী? উত্তর নয়, আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টেই জল্পনা জিইয়ে রাখার পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা।