নয়াদিল্লি: আপাতত সাফল্য উপভোগ করছে 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story)। একাধিক নেতিবাচক মন্তব্য (negative comments), নিষিদ্ধ (ban) করার আবেদন থেকে সিদ্ধান্ত, বিতর্ক, কোনও কিছুই বক্স অফিসে (box office) আটকাতে পারেনি আদাহ্ শর্মা (Adah Sharma) অভিনীত এই ছবিকে। এখন লাইমলাইটে অভিনেত্রী। ছবির কনটেন্টও এখন অন্যতম আলোচ্য বিষয়। তবে অভিনেত্রী এই সবকিছুর মাঝেও চিন্তায় ছিলেন, ছবির বিশেষ কিছু চাঞ্চল্যকর দৃশ্য দেখে তাঁর মা ও ঠাকুমা কী প্রতিক্রিয়া দেবেন সেই নিয়ে। বিস্তারিত বললেন এক সাক্ষাৎকারে।


আদাহ্ শর্মার চিন্তা!


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের চিন্তার কথা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী আদাহ্ শর্মা। তিনি জানান, 'দ্য কেরালা স্টোরি'র বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ও 'ডিস্টার্বিং' দৃশ্য দেখে তাঁর ৯০ বছরের বৃদ্ধা ঠাকুমার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, সেই নিয়ে একপ্রকার চিন্তিত ছিলেন। 


আদাহ্ শর্মা বলেন, 'আমার মা ও ঠাকুমা গল্পটা জানতেন। আমি আমার ঠাকুমার প্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তায় ছিলাম, বিশেষত ধর্ষণের দৃশ্যগুলির জন্য। ওই সব দৃশ্যগুলো দেখে কী বলবেন সেই নিয়ে চিন্তায় ছিলাম।'


তিনি আরও বলেন, 'তবে আমি বলছি আমার ৯০ বছর বয়সী ঠাকুমা সবচেয়ে শক্ত। সিনেমাটা দেখে সেটাকে শিক্ষনীয় ও তথ্যসমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা বলেন তিনি। বলেন, "আমি চাই আমার সব ছাত্রছাত্রীরা এই ছবিটা দেখুক"। আমি তাঁকে বলি যে এটা প্রাপ্তবয়স্কদের ছবি এবং তখন তিনি বলেন যে এটা একটা U/A ছবি হওয়া উচিত ছিল যাতে অল্পবয়সী মেয়েরাও এটা দেখতে পারে, সচেতন হতে পারে এবং তাতে তাঁদের ভবিষ্যতে সুবিধা হবে।'


আরও পড়ুন: Sleep vs Work Performance: রাতভর ঘুম হয়নি! সকালে কাজে মন কীভাবে? রইল সহজ টিপস


প্রসঙ্গত, বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের তৈরি এই ছবিকে পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর নির্মাতা সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সর্বোচ্চ আদালত যখন রায় দেয় তাঁর ছবির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার, মুম্বইয়ে বসে কার্যত লাফিয়ে উঠেছিলেন বাংলার ছেলে। আর তারপরেই, টিকিট কেটে তড়িঘড়ি তিনি ছুটে আসেন বাংলায়। সঙ্গে আসেন, ছবির নায়িকা আদাহ্ শর্মাও। কিন্তু বাংলায় এসে যারপরনাই হতাশ হতে হল পরিচালককে।  গতকাল, অর্থাৎ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে, কোনও রাখঢাক না রেখেই, হতাশার কথা, মনখারাপের কথা শোনা গেল পরিচালকের গলায়। সাংবাদিক সম্মেলনের প্রথমেই তিনি বলেন, 'আমি বা আদাহ্ কেউই রাজনীতিবিদ নই। আমরা রাজনীতি জানি না। রাজনীতির কথা বলতে গেলে হয়তো আমাদের কিছু ভুল হয়ে যাবে, সেটা আমরা করতে চাই না।' তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আলাদা করা যায় না 'দ্য কেরালা স্টোরি' আর রাজনীতিকে। অন্যদিকে, হতাশার কথা লুকোতে পারলেন না পরিচালকও। সুদীপ্ত বলছেন, 'আমি বাঙালি, এই ছবির মিউজিক ডিরেক্টর বাঙালি, প্রোজাকশন ডিজাইনার বাঙালি.... এত গর্বিত হয়েছিলাম আমরা, যে সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিই, কলকাতায় এসে উদযাপন করব। ঘুরে দেখব প্রেক্ষাগৃহ। কিন্তু কলকাতায় এসে যারপরনাই হতাশ হলাম। নিষেধ উঠিয়ে নেওয়ার পরেও কলকাতার কোনও প্রেক্ষাগৃহেই কেরালা স্টোরি চলছে না।