মুম্বই : কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক থাকলেও তা মোটেই বেশিদিন টেকেনি। বলিউডের 'কুইন' অভিনেত্রীর সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক থেকে কীভাবে তিনি বেরিয়ে এসেছিলেন, সে সম্পর্কে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অভিনেতা অধ্যয়ন সুমন। তার সঙ্গে এও জানিয়েছেন যে, কীভাবে কঙ্গনার সঙ্গে 'দূষিত' সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে তাঁর বাবা শেখর সুমন তাঁকে সাহায্য করেছিলেন।


২০০৯ সালে মোহিত সুরির ছবি 'রাজ : দ্য মিস্ট্রি কনটিনিউজ'-এর সেটে প্রথম কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে আলাপ হয় অধ্যয়ন সুমনের। ছবিতে কঙ্গনা রানাউত, অধ্যয়ন সুমনের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন ইমরান হাশমিও। ছবির সেট থেকেই তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু সেই সম্পর্ক মোটেই বেশিদিন টেকেনি। একটি সাক্ষাৎকারে অধ্যয়ন সুমন বলেন, 'তরুণ মন হওয়ায় আমার সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে অনেক সময় লেগেছিল।'


অধ্যয়ন, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক বিষাক্ত সম্পর্কে পরিণত হয়েছিল। তিনি নাকি সেই সময়ে কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে খুবই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এই অভিনেত্রীর ব্যবহারের জন্যই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন 'রাজ'-এর অভিনেতা। তাঁর মতে, কঙ্গনার ব্যবহার দিন দিন এত বদলে যাচ্ছিল যে, তাঁর পক্ষে সেই সম্পর্কে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু তিনি নিজে এতটাই আবেগপ্রবণ ছিলেন যে, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে তাঁর মনে অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করছিল। সেই সময় অধ্যয়নকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেন তাঁর বাবা শেখর সুমন।


সাক্ষাৎকারে অধ্যয়ন সুমন জানিয়েছেন, কীভাবে বাবার সাহায্যে কঙ্গনার সঙ্গে 'দূষিত' বা 'বিষাক্ত' সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। এই অভিনেতা জানিয়েছেন, 'বাবা পরামর্শ দিয়ে বলেছিল- দু’জন মানুষ সম্পর্কে রয়েছে মানে এই নয় যে, তাদের সবসময়ই একসঙ্গে থাকতে হবে। বাস্তবটা অনুভব করে সামনে এগিয়ে যাওয়া দরকার। বাবার এই পরামর্শই আমাকে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।'


অধ্যয়ন সুমনের মতে, 'সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা মানে অন্য কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যুদ্ধ নয়। যুদ্ধ হয় নিজের সঙ্গেই। তাই যে কোনও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সময় আমাদের অনেক সময় লেগে যায়। সেই সময় যদি পাশে এমন কোনও ব্যক্তি থাকেন, যিনি সঠিক পরামর্শ দিয়ে গাইড করতে পারবেন, তাহলে পরিস্থিতি অনেক সহজ হয়ে যায়। কঙ্গনার সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা এবং তার পরবর্তীতে দুঃখ ভোলার সময়ও বাবা আমাকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে পাশে থেকেছে।'