নয়াদিল্লি: ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করায় তাঁকে নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সেই সব কাটাছেঁড়ার তোয়াক্কা না করে পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে সমর্থন জানালেন সঙ্গীতশিল্পী আদনান সামি। শিল্প ও শিল্পীকে কোনও সীমা বেঁধে রাখতে পারে না বলে যে প্রবাদ রয়েছে, তারও তীব্র বিরোধিতা করলেন তিনি। (Ban on Pakistani Artists)
পহেলগাঁও হামলা থেকে অপারেশন সিঁদুর, ২০২৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতীয় ছবিতে কাজ পাওয়া যেমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তেমনই বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পাকিস্তানি ছবি, সিরিয়াল দেখাও নিষিদ্ধ করা হয়। ফাওয়াদ খান এবং বাণী কপূর অভিনীত ‘আবির গুলালে’র মুক্তিও আটকে গিয়েছে সেই কারণে। (Adnan Sami)
সেই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পাকিস্তানি শিল্পীদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে সমর্থন জানালেন আদনান। তাঁর দাবি, একজন শিল্পী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না হলেও, জন্মগত ভাবে দেশপ্রেমী অবশ্যই। তাই তিনি নিজের দেশকেই সমর্থন করবেন, নিজের দেশকে আড়াল করতেই হবে তাঁকে।
আদনানের সাফ বক্তব্য, “আপনার দেশ আপনার ঘর। সেই ঘরের উপর কেউ চড়াও হলে, শিল্পী কি রুখে দাঁড়াবেন না? লড়াই করবেন না? তিনি কি সুর চড়াবেন না? শিল্পী বলেই নিজেকে বৈশ্বিক ঘোষণা করা বা সীমানার ঊর্ধ্বে বলা যায় না। শিল্পেরও সীমা-পরিসীমা আছে। শিল্পী কি যার তার বাড়িতে থাকতে পারেন? নিজের বাড়িতে থাকেন তিনি। পৃথিবীর যে প্রান্তেই বসবাস হোক না কেন, শিল্পী যদি তাঁর নিজের দেশের হয়ে কথা বলেন, আমি সেটাকে সমর্থন করি।”
আদনান আরও বলেন, “আসল কথা হল, আমার দেশ, আমার ঘরের উপর বিপদ নেমে এসেছে, হামলা হয়েছে। আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে, রক্ষা করতে হবে দেশকে। এক্ষেত্রে একজোট হতেই হবে, মুখ ফেরানো যাবে না কোনও ভাবেই।” প্রত্যেক নাগরিকের মতো শিল্পীদেরও কিছু দায়দায়িত্ব আছে, তাঁরা শুধুমাত্র নিজেদের সুরক্ষার কথা ভাবতে পারেন না বলে মত আদনানের।
আদনানের এমন মন্তব্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ খেলা হলে, পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে নিয়ে তৈরি তাঁর ছবি 'সর্দারজি ৩' কেন দেখানো যাবে না, সম্প্রতি এই প্রশ্ন তুলেছিলেন দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ। আদনান তাঁকেও বার্তা দিলেন কি না, জল্পনা শুরু হয়েছে।