কলকাতা: সদ্য তাঁর একাধিক মন্তব্যের জন্য শিরোনামে উঠে এসেছেন আদনান সামি (Adnan Sami)। আর এবার শিরোনামে তাঁর কথা একটি ট্যুইট। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন আদনান সামি। তিনি ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। তিনি এখন ভারতের বাসিন্দা। আর এমতাবস্থাতেই তিনি কাশ্মীরের ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আর এবার কাশ্মীরের কিছু শিশুদের সঙ্গে কথোপকথনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন তিনি।
পাকিস্তানের ছেলেদের সঙ্গে কী কথাবার্তা হল আদনান সামির?
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাম -এ আতঙ্কবাদী হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই সবের মাঝেই সঙ্গীতশিল্পী আদনান সামি আজেরবাইজানে কিছু পাকিস্তানি ছেলেদের সঙ্গে হওয়া কথোপকথন শেয়ার করেছেন। সেই ছেলেগুলো আদনান সামিকে বলেছেন যে, তিনি ঠিক সময়ে পাকিস্তান ছেড়েছিলেন। এতটুকুই নয়, সেই সমস্ত পাকিস্তানি শিশুরা নিজেদের পাকিস্তানী পরিচয় ত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
নিজেদের সেনাদের ঘৃণা করে পাকিস্তানের শিশুরা!
আদনান সামি আজেরবাইজানে পাকিস্তানি ছেলেদের সঙ্গে হওয়া কথোপকথন নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, আদনান সামি একটা সময়ে পাকিস্তানের বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু ২০০৬ সালে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আদনান আজই আজেরবাইজানে কিছু পাকিস্তানি ছেলেদের সঙ্গে হওয়া কথোপকথনের কথা বলেছেন। তিনি এক্স-এ নিজের পোস্টে লিখেছেন, 'আজেরবাইজানের সুন্দর রাস্তাঘাটে ঘুরতে ঘুরতে কিছু খুব ভাল পাকিস্তানি ছেলেদের সঙ্গে দেখা হল... তারা বলল, 'স্যার, আপনি খুব ভাগ্যবান.. আপনি ঠিক সময়ে পাকিস্তান ছেড়েছেন.. আমরাও আমাদের নাগরিকত্ব বদল করতে চাই... আমরা আমাদের সেনার প্রতি ঘৃণা করি... ওরা আমাদের দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে!' আমি উত্তর দিয়েছি, 'আমি অনেক আগেই এটা জেনেছিলাম!'
আদনানের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার যাত্রা'তেরা চেহেরা' গায়ক ২০০১ সালে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে এসেছিলেন এবং ১৫ বছর এখানে ছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁর পাকিস্তানি পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন, যা তিনি ২০১৬ সালে পেয়েছিলেন।
আদনান সামি অনেক হিট গান গেয়েছেনআদনান সামি বেশ জনপ্রিয় গায়ক ও সুরকার। তিনি 'লিফট করাদে' এবং 'কবি তো নজর মিলাও' যেসব হিট অ্যালবামের জন্য পরিচিত, লন্ডনে জন্মগ্রহণকারী আদনান সামি ২০০১ সালে ভারতে এসেছিলেন এবং ২০১৬ সালে ভারতীয় নাগরিক হয়েছিলেন। সঙ্গীতে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে ২০২০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়।