মুম্বই: বড় অভিযোগ জমা পড়ল মহারাষ্ট্রের পুলিশের কাছে। যিনি অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) জোনাল ডিরেক্টর, সমীর ওয়াংখেড়ে। শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানের গ্রেফাতারির পর থেকে তাঁর নাম সব মহলেই পরিচিত। ক্রুজ -কর্ডেলিয়া মাদককাণ্ডে কিং খানের ছেলেকে গ্রেফতারের পর থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সমীর ওয়াংখেড়ের পিছু নিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।


এ বিষয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। সমীর ওয়াংখেড়ের কথায়, সাধারণ পোশাক পরিহিত বেশ কয়েক জন ব্যক্তি অনেকদিন ধরে তাঁকে অনুসরণ করছে। একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে যে সমীর ওয়াংখেড়ে এই ঘটনার কথা জানিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রমাণের অংশ হিসেবে জমা দিয়েছে। যেখানে তিনি 'গুপ্তচরবৃত্তির' অভিযোগ জানিয়েছেন। 


এনসিবি সূত্রের খবর, এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যেখানে ওয়াংখেড়েকে কয়েকজন ব্যক্তি অনুসরণ করেছিল এবং তার গতিবিধি ট্র্যাক করা হচ্ছিল। অপর আরেকটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওয়াংখেড়ে অভিযোগ করেছেন যে তিনি সূত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে কেউ তাকে নিয়মিতভাবে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরতলির একটি কবরস্থানেও অনুসরণ করেছে। প্রসঙ্গত, ওই কবরস্থানে সমীরের মায়ের সমাধি রয়েছে। সেখানেই প্রার্থনায় যান এনসিবি কর্তা। 



এই ঘটনার পর এবার  ওয়াংখেড়ে নিজের এবং তার পরিবারের জন্যও পুলিশ সুরক্ষা চেয়েছেন। এদিকে, মুম্বইয়ের একটি বিশেষ এনডিপিএস আদালত সোমবার আরিয়ান খানের জামিন আবেদনের শুনানি ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে। জামিন না পাওয়া পর্যন্ত আর্থার রোডের জেলেই কাটাতে হবে শাহরুখ-পুত্রকে। 


এদিকে, ছেলের গ্রেফতারির পরই সমস্ত শ্যুটিং বাতিল করে দেন শাহরুখ খান। একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আরিয়ানকে গ্রেফতার করার পরই দেশের সেরা আইনজীবীকে মামলায় নিয়োগ করেছেন শাহরুখ খান। আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডেও কিং খানকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, আরিয়ান খুব তাড়াতাড়িই মুক্তি পেয়ে যাবেন। কিন্তু আদালতের পক্ষ থেকে বারবারই জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। ফলে জেলের গরাদের মধ্যেই দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে।