মুম্বই: দীপিকা পাড়ুকোনের পর ফের আর এক বলিউড অভিনেত্রী প্রকাশ্যে হতাশা নিয়ে মুখ খুললেন। রবিনা ট্যান্ডন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, প্রত্যেক সাধারণ মানুষের মতো গ্ল্যামার জগৎের তারকারাও জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিষণ্ণতার শিকার হন। কারণ, ব্যক্তি জীবন বা কেরিয়ার, সব তারকারাই জীবনে কখনও না কখনও আঘাত পেয়েছেন।

মানসিক রোগের চিকিৎসক অঞ্জলি ছাবারিয়ার ‘ডেথ ইজ নট দ্য অ্যান্সার’ নামক বইয়ের প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে একথা বলেন রবিনা। তিনি মনে করেন, জীবনের কোনও না কোনও সময় খোলা মনে সেসব কথা অকটপটে স্বীকার করে নিলে, একজন ভেতর থেকে অনেক হাল্কা হতে পারেন। এক্ষেত্রে একজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে তারকাদের তেমন কোনও পার্থ্যক নেই।



রবিনা মনে করেন, যে তারকারা হতাশার সঙ্গে লড়ে জীবনে এগিয়ে যেতে পেরেছেন, তাঁরা শেষপর্যন্ত দৌড়ে জিতেছেন। কিন্তু গ্ল্যামার জগতের বহু মানুষ আছেন, যাঁরা এই বিষণ্ণতা, হতাশার সঙ্গে লড়তে পারেননি, এবং অবশেষে জীবনের কাছে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হার মেনেছেন।
অঞ্জলি ছাবারিয়ার এই বইয়ের মূল বিষয়ই হল মানুষের মধ্যে বেড়ে চলা আত্মহত্যার প্রবণতা। আর বর্তমান যুগের জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে যেভাবে মহিলাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে, তারজন্যেই বেশি চিন্তিত রবিনা। রবিনা এক সমীক্ষা রিপোর্টের তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছেন, গড়ে প্রতিদিন দশজন মহিলা আত্মহত্যা করেন। এরমধ্যে ছজনই গৃহবধূ। এদিকে অল্পবয়সি মেয়ে যাঁরা আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিচ্ছেন তাঁরা মূলত প্রেমে ব্যর্থ হচ্ছেন, অনেক সময় বাবা-মায়ের কাছে বকুনি খেয়ে, আবার অনেক সময় পরীক্ষায় নম্বর কম পেয়ে আত্মহত্যা করছেন। অভিনেত্রী মনে করেন সমস্যার মূল অনেক গভীরে, এরজন্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করা দরকার।