মুম্বই: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আত্মহত্যা আচমকা যেন সোস্যাল মিডিয়ায় প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দিয়েছে। বলিউডের বড় মাথারা স্বজনপোষণ করেন, তাঁদের ‘চক্র’ কলকাঠি নেড়ে প্রয়াত অভিনেতাকে বেশ কয়েকটি ছবি থেকে সরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সরব সুশান্তের ভক্তরা। কেন তাঁকে আত্মহত্যার মতো চরম পদক্ষেপ করতে হল, তা তদন্ত করে দেখার দাবি তুলেছেন তাঁরা। এর মধ্যেই মুখ খুললেন আরেক প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানের মা। ২০১৩-য় মাত্র ২৫ বছরে বয়সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হওয়া জিয়ার মা চাঞ্চল্যকর অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলেছেন সলমন খানকে। জিয়ার মৃত্যুর পর এবং তাঁর আত্মহত্যার চলতি মামলায় তাঁর তত্কালীন বয়ফ্রেন্ড সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তাঁকে জেরাও করে পুলিশ। পুলিশি হেফাজতেও নেওয়া হয় সুরজকে। এখন কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, জিয়ার মা জানিয়েছেন, তাঁকে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার লন্ডন থেকে মুম্বই ডেকে পাঠিয়েছেন। অফিসারটি তাঁকে জানিয়েছেন, সলমন খানের তরফে তাঁকে ফোন করে অনুরোধ করা হয়েছে, সুরজকে যেন ‘হেনস্থা’, ‘জেরা’ করা না হয়।
একটি ভিডিওতে জিয়ার মা-কে বলতে শোনা গিয়েছে, উনি আমায় লন্ডন থেকে আসলে বলেন। জানান, দয়া করে একবার আসুন, কিছু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ এসেছে। আমি এলাম। তিনি বলেন, ‘ও শুনুন, সলমন খান আমায় ফোন করেছিলেন, রোজই করেন, বলেন, অনেক টাকা ঢেলেছেন উনি, যেন ছেলেটাকে হেনস্থা, হয়রানি করা না হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করে চাপ দেওয়া না হয়, ওর গায়ে হাত না পড়ে। তাহলে আমরা কী করি ম্যাডাম?’
জিয়ার মা বলেছেন, এটাই যদি পরিস্থিতি হয়, তদন্ত বানচাল করতে চাপ আসে, অর্থবল, ক্ষমতা কাজে লাগানো হয়, তবে জানি না, নাগরিকরা কোথায় যাবেন? আমার আবেদন, এর বিরুদ্ধে রুখে উঠুন, প্রতিবাদ করুন, বলিউডে এই নোংরা প্রভাব, আচরণ বন্ধ করুন।
জিয়ার মা আরও বলেছেন, বলিউডে বদল চাই, বলিউডকে জেগে উঠতে হবে। বলিউডকে ধমকানো, চমকানো শেষ করতে হবে পুরোপুরি।
সুশান্ত গত রবিবার মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মুম্বইয়ের বান্দ্রার ফ্ল্য়াটে আত্মঘাতী হন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বক্তব্য, সুশান্ত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, তার চিকিত্সাও চলছিল। ‘ছিছোরে’ সাফল্য পেলেও গত ৬ মাসে সাতটি ছবি তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে যায় বলেও জানিয়েছে তারা।