মুম্বই: ছোট পর্দার পরিচিত মুখ বৈশালী টক্করের (Vaishali Takkar) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় গত ১৬ অক্টোবর। ইন্দোরের বাড়ি থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বৈশালীর এই অকাল মৃত্যু (Vaishali Takkar Suicide) তাঁর পরিচিত থেকে ছোট পর্দার দর্শকদের মন ভারাক্রান্ত করে দিয়েছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত বৈশালী জীবনের সবথেকে ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেলেন। আর সেই সময় তাঁর পাশে কেউ ছিল না তাঁকে আটকানোর জন্য। অভিনেত্রীর ঘর থেকেই পাওয়া যায় পাঁচ পাতার একটি সুইসাইড নোট। যেখানে তিনি অনেক কথা লিখে গিয়েছেন। সুইসাইড নোট থেকেই পাওয়া গিয়েছে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক এবং প্রতিবেশী রাহুল নভলানির নাম। মৃত্যুর আগে বৈশালী তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করে গিয়েছেন। আর তার ভিত্তিতেই রাহুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, বৈশালীর মৃত্যুর পর তাঁর শেষ ইচ্ছে পূরণ করেছে তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন - Honey Singh: হাতে হাত, কার প্রেমে পড়লেন হানি সিংহ?
সুইসাইড নোটে 'সসুরাল সিমর কা' অভিনেত্রী বৈশালী টক্কর অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, রাহুল নভলানি তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক থেকেই নির্যাতন করতেন। প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু বিয়ে ঠিক হতেই ফের তাঁকে হেনস্থা করতে শুরু করেন রাহুল। আর অত্যাচারের মাত্রা চরমে পৌঁছতে আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারলেন না বৈশালী। চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। এমন পরিস্থিতিতে অভিনেত্রীর দেহ সৎকারের আগে তাঁর শেষ ইচ্ছে পূরণ করল তাঁর পরিবার।
শেষ ইচ্ছে কী ছিল বৈশালী টক্করের?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বৈশালীর দাদা নীরজ জানিয়েছেন যে, অভিনেত্রীর শেষ ইচ্ছে ছিল চক্ষুদানের। নানা সময়ে তিনি পরিবারের কাছে এই ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন। আর অভিনেত্রীর এই ইচ্ছেই পূরণ করল তাঁর পরিবার। নীরজ বলছেন, 'বৈশালী ওর চোখ দুটো খুব ভালোবাসতো। একাধিক সময়ে আমাদের বলেছে যে, মৃত্যুর পর ও নিজের চোখ দুটো দান করতে চায়। মা-কেও ও একই কথা বলেছিল। তাই ওর এই ইচ্ছের কথা মাথায় রেখে ওর দেহ সৎকারের আগে আমরা ওর সুন্দর চোখ দুটো দান করি। যাতে কোনও একজন মানুষ ওর ওই সুন্দর চোখ দুটো দিয়ে এই পৃথিবীটাকে দেখতে পারে।' বৈশালীর মৃত্যুর প্রসঙ্গে নীরজও অভিযোগ তুলছেন তাঁদের প্রতিবেশী রাহুল নভলানির দিকে। তিনি জানাচ্ছেন, রাহুল অভিনেত্রীকে এবং তাঁর হবু স্বামীকে ব্ল্যাকমেল করত নানা সময়ে। রাহুল চাইতো না যে বৈশালী বিয়ে করুক। তিনি বলছেন, 'ও (রাহুল) নানা সময়ে বৈশালীকে ধমকাতো যে, তোর সংসার হতে দেব না। তোর বিয়ে হতে দেব না। ডায়রিতে বৈশালী সমস্ত সম্পর্কের কথা লিখে রেখেছিল। যাঁর সঙ্গে ওর বাগদান হয়েছিল, তাঁকে রাহুল মেসেজ করত আর বৈশালীকে ধমকাতো।'