কলকাতা: হালকা রঙের শাড়ি, মানানসই হালকা সাজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়বাড়ি থেকে ছবি ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। ক্যানসারকে জয় করে এখন বেশ কিছুটা ভালো আছেন অভিনেত্রী ঈন্দ্রিলা। ধীরে ধীরে ফিরছেন জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে। আলোয় মোড়া আকাশের নিচে ঐন্দ্রিলার ছবি দেখে আবেগে ভাসলেন অনুরাগীরা। 


আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন ঐন্দ্রিলা। জরি ভারী পাড়ের শাড়ি পরে বসে আছেন তিনি। কানে ভারী দুল। মাথার ছোট চুলই যেন তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্ট। ক্যাপশানে ছোট্ট হার্টসাইন দিয়ে ঐন্দ্রিলা লিখেছেন বিয়েবাড়ি। তাঁর ছবির কমেন্টে শুভেচ্ছাবার্তা ও ভালোবাসা উপচে দিয়েছেন অনুরাগী ও শুভাকাঙ্খীরা। 


সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐন্দ্রিলার ছবি পোস্ট করেছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী। গায়ে হালকা শীতপোশাক, হাওয়ায় উড়ছে চুল। সব্যসাচী চৌধুরীর (Sabyasachi Chowdhury) সঙ্গে গঙ্গাবক্ষে ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। সোশ্যাল মিডিয়ায় মন ভালো করা ছবি শেয়ার করে নিলেন সব্যসাচী। খুনসুটি করে লিখলেন, ঈন্দ্রিলার নাকি কায়দা বেড়েছে। 


ক্যানসারকে জয় করে এখন বেশ কিছুটা ভালো আছেন অভিনেত্রী ঈন্দ্রিলা। হালকা গোলাপি পোশাকে, শীতের রোদ মেঘে প্রেমিকের সঙ্গে কিছুটা ভালো সময় কাটাতেই বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় গঙ্গাবক্ষের রেস্তোরাঁ থেকে ছবি পোস্ট করেছেন ঐন্দ্রিলা নিজেও। তাঁর চোখে মুখে খুশি। সব্যসাচী অবশ্য মজা করে তাঁর পোস্টে লিখেছেন, বিগ বস শেষ হয়ে যাওয়ায় ঐন্দ্রিলা শোকাহত।


আরও পড়ুন: প্রকাশ পেল 'গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি' ছবিতে অজয় দেবগণের প্রথম লুক


ডিসেম্বর মাসে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে লেখা ও তাঁর পুরনো ছবি পোস্ট করেছিলেন সব্যসাচী। সেই ছবিতে ঐন্দ্রিলার মাথায় লম্বা চুল, শাড়ি আর কপালে টিপ। তার সঙ্গে কোলাজ করে নেওয়া অভিনেত্রীর অসুস্থ থাকার ছবি। সব্যসাচী লিখেছিলেন, 'সেই ফেব্রুয়ারী থেকে দিন গোনা শুরু হয়েছিল আর অবশেষে সেই বহু প্রতীক্ষিত ডিসেম্বর মাস এল। আমি যখন ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে প্রথম লিখতে শুরু করেছিলাম, আমার বাবা মা সহ চেনাজানা অনেকেরই ভ্রু কিঞ্চিৎ কুঞ্চিত হয়েছিল। আর সেটা হওয়াটাই স্বাভাবিক, কারণ এটা আমার স্বভাববিরুদ্ধ বিষয়। ঐন্দ্রিলার সাথে আমার আলাপ চার বছর আগে কিন্তু এর মাঝে আমরা কোনোদিন সেভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি পোস্ট করিনি। কাপল্ ফটোশুট, টিকটক ভিডিও, বুমেরাং ইত্যাদি যা সব হয় আর কি, কখনও করিনি আমরা। আর সত্যি বলতে, আমি এগুলো করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। উনি অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন, তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তেমন নয়।'