মুম্বই: এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি হিসেবে পরিচিত মুম্বইয়ের ধারাভি। এখানে এক চিলতে ঘরে একইসঙ্গে অনেকজন মিলে বসবাস করে বিভিন্ন পরিবার। নেই পৃথক কোনো শৌচাগার। গণ শৌচাগারই ভরসা এখানকরার বাসিন্দাদের। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় বিধি মেনে তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এখানে খুবই কঠিন।
ভিড়ে ঠাসা ধারাভিতে ইতিমধ্যেই হাজার দেড়েকের মতো করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। মুম্বইয়ের মোট আক্রান্তদের একটা বড় অংশ এই ধারাভির বাসিন্দা। এমন একটি জায়গায় অতি সংক্রামক এই ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই খুব একটা সহজ নয়।
এরইমধ্যে গত ১৫ দিনের মধ্যে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি হয়েছে এই এলাকায়। আর তা সম্ভব হয়েছে বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগনের সহায়তায়। তিনি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ভেন্টিলেটরের দাম দিয়েছেন, যা কোয়ারিন্টন কেন্দ্রে ব্যবহৃত হবে।
জি-নর্থের অ্যাসিস্ট্যান্ট মিউনিসিপাল কমিশনার কিরণ দিঘাভকর জানিয়েছেন, আমরা তাঁকে বলেছিলাম যে, ২০০ শয্যার জন্য আমাদের অক্সিজেন সিলিন্ডার ও দুটি পোর্টেবল ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন। এর দাম তিনি সঙ্গে সঙ্গে দিতে রাজি হয়ে যান।
অজয় এর আগে ধারাভির ৭০০ পরিবারকে রেশন সামগ্রী দিয়েছেন।
এর আগে অজয় ট্যুইটারে লিখেছিলেন, কোভিড ১৯ সংক্রমণের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে ধারাভি। পথে নেমে অভাবগ্রস্তদের রেশন ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সামগ্রী দিতে এনজিও-গুলির মাধ্যমে অক্লান্তভাবে কাজ করছে এমসিজিএম। তাদের এই উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন অনেকেই।আমাদের এডিএফএফ ৭০০ পরিবারকে সাহায্য করছে। আমি অন্যান্যদেরও এগিয়ে আসার আর্জি জানাচ্ছি।


বিএসসি-র দ্বারা গঠিক এই নতুন হাসপাতাল এখন কোভিড আক্রান্তদের চিকিত্সার কাজে ব্যবহৃত হবে। থাকবেন চার চিকিত্সক। সঙ্গে ১২ নার্স ও ২০ ওয়ার্ড অ্যাটেন্ড্যান্ট।
কিরণ বলেছেন, এই হাসপাতালে বেডগুলিতে রোগীদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করতে চাই।
এর আগে অজয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ৫১ লক্ষ দৈনিক পারিশ্রমিক ভিত্তিক কর্মীদের জন্য ৫১ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।