মুম্বই: সবে মাত্র আজই সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে অক্ষয় কুমারের বহু প্রতীক্ষিত স্পাই থ্রিলার 'বেল বটম'। মুক্তির আগে থেকেই ছবিতে অক্ষয় কুমার এবং লারা দত্ত-র লুক নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। করোনা পরিস্থিতিতে খুব কম সংখ্যক সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। কিন্তু ছবি মুক্তির মাত্র কয়েকঘণ্টার মধ্যেই অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেল 'বেল বটম'।
করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে ছবি নির্মাতারা ছবির মুক্তির জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উপরই ভরসা করছিল, সেখানে 'বেল বটম' ছবির নির্মাতাদের এমন সাহসী পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনরা। অক্ষয় কুমার জানিয়েছিলেন যে, সিনেমা শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রাখতে সিনেমাহলেই ছবি মুক্তি পাওয়া দরকার। সেই জায়গা থেকে ছবি মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনে ফাঁস হয়ে যাওয়া সিনেমা জগতের জন্য নিঃসন্দেহে দুঃসংবাদ। অক্ষয় কুমারের নতুন ছবি 'বেল বটম' যে শুধু অনলাইনে দেখা যাচ্ছে তাই নয়, ছবিটি বিনামূল্যে ডাউনলোডও করা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে বহুদিন ধরেই বন্ধ ছিল সিনেমাহল। মারণ ভাইরাস কোভিডের কারণে ক্ষতির মুখ দেখছিল সিনেমাহলগুলি। যদিও মাঝে কিছু সময় খুলেছিল সিনেমাহল। কিন্তু তাতেও এই শিল্প ব্যবসায় ক্ষতির মুখ দেখছিল। ফলে ছবি মুক্তির ক্ষেত্রে ওটিটি প্ল্য়াটফর্মই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। লকডাউন এবং করোনা পরিস্থিতিতে বহু ছবিই মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী বর্তমানে ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে সিনেমাহল খোলার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। তাই কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই নতুন ছবি 'বেল বটম' সিনেমাহলে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় ছবির পরিচালক প্রযোজকরা। সংবাদ মাধ্যমে বলিউডের 'খিলাড়ি' অক্ষয় কুমার জানিয়েছিলেন যে, সিনেমা শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সিনেমাহলে ছবি মুক্তি না হলে চলবে না। তাই কম সংখ্যক সিনেমাহলে ছবি মুক্তির অনুমতি পাওয়া গেলেও, সাহস করে সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাঁরা। প্রথম থেকেই এই ছবির ব্যবসার দিকে নজর ছিল তাঁদের। ছবির টিকিটের অগ্রিম বুকিংয়েও জোর দেওয়া হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, ছবি মুক্তির আগে অগ্রিম টিকিট বুকিংয়েই প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ লক্ষ টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে বহু প্রতীক্ষিত স্পাই থ্রিলার 'বেল বটম'।
প্রসঙ্গত, গত বছরও করোনা পরিস্থিতির কারণে অক্ষয় কুমার অভিনীত 'লক্ষ্মী' মুক্তি পেয়েছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। কিন্তু এই ছবির ব্যবসা একেবারেই ভালো হয়নি। তাই সিনেমাহলেই ফের ছবি মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় 'বেল বটম' ছবির নির্মাতারা। ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে সিনেমাহল চালু হলেও সংক্রমণের আশঙ্কায় কত দর্শক হলে এসে ছবি দেখতে চাইবেন, তারও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছিল। তাই শুরু থেকেই ছবির অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আর তার ফলও হাতেনাতে পেলেন ছবি নির্মাতারা। স্বল্প সংখ্যক সিনেমাহলে মুক্তি পেলেও শনি-রবিবারের জন্য টিকিট বুকিংয়ের সংখ্যা নজর কেড়েছে। তার উপর সামনেই রাখি বন্ধন উৎসব। সব মিলিয়ে অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ে প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ লক্ষ টাকার ব্যবসা করে ফেলল অক্ষয় কুমারের নতুন ছবি।