কলকাতা: মহেশ ভট্ট (Mahesh Bhatt) কন্যা তিনি। বলিউডে নিন্দুকেরা বলেন, নেপোটিজমের জন্যই নাকি কাজে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তবে সহজ ছিল না আলিয়া ভট্টের (Alia Bhatt) বলিউডে নিজের জায়গা করে নেওয়ার সফরটা। সাফল্যের আড়ালে হয়তো ঢাকা পড়ে গিয়েছে তাঁর ব্যর্থতার গল্প, কিন্তু আলিয়া যেমন ছবি থেকে বাদ পড়েছেন, তেমনই তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে বেশি ওজন নিয়েও।
তিনি প্রথম ক্যামেরার সামনে অভিনয় করেছিলেন বাবা মহেশ ভট্ট (Mahesh Bhatt)-এর প্রযোজনায়। ছবির নাম ছিল সংঘর্ষ (Sangharsh)। সালটি ছিল ১৯৯৯। প্রীতি জিন্টার (Preeti Zinta)-র ছেলেবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপরে সঞ্জয় লীলা ভনসালি (Sanjay Leela Vanshali)-র ব্ল্যাক (Black)-এ শিশুশিল্পীর চরিত্রের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে সুযোগ পাননি আলিয়া। বাতিল হয়ে যান সেই চরিত্র থেকে।
এরপরে 'বালিকা বধূ'-র চরিত্রে রণবীর কপূরের বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেটিও ছিল সঞ্জয় লীলা ভনসালি-র-ই ছবি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শ্যুটিং ফ্লোর পর্যন্ত গড়ায়নি সেই ছবি। একটি ফটোশ্যুটেই শেষ হয়ে যায় বালিকা বধূর সফর। কর্ণ জোহরের (Karan Johar)-এর 'স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার' (Student of The Year)-এর হাত ধরেই পেশাদারভাবে অভিনয় জগতে আসেন আলিয়া।
তবে এই ছবির জন্যও ৫০০ জনের সঙ্গে অডিশন দিয়েছিলেন আলিয়া। 'স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার'-এর জন্য ১৬ কেজি ওজন কমাতে হয়েছিল আলিয়াকে। বক্সঅফিসে সাফল্য পায় এই ছবি। কেবল আলিয়া নন, 'স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার'-এর মাধ্যমেই বলিউডে পা রাখেন বরুণ ধবন (Varun Dhawan) ও সিদ্ধার্থ মলহোত্র (Siddharth Malhotra)। তবে প্রথম ছবিতে আলিয়ার অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এরপর অবশ্য হাইওয়ে (Highway) ছবিতে আলিয়া বুঝিয়ে দেন তিনি লম্বা দৌড়ের ঘোড়া।