প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে  ( Bengal Recruitment Scam ) এবার সিবিআইয়ের ( CBI ) স্ক্যানারে কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বুধবার তলবে নিজাম প্যালেসে ( Nizam Palace ) প্রায় আড়াই ঘণ্টা সিবিআই ( CBI ) এর মুখোমুখি হলেন গোপাল দলপতি বর্ণিত কালীঘাটের কাকু ! কী বললেন তিনি ? সত্যিই কি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ? 'টাকা নিয়েছেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তর পেল কী সিবিআই ?                     

কী কী প্রশ্ন কালীঘাটের কাকুকে 
আড়াই ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দিকে ধেয়ে আসে প্রশ্ন । তিনি ঠিক কতটা জানেন ? চেনেন ধৃত তাপস মণ্ডলকে ? দেখা হয়েছে তার সঙ্গে ? তাঁর কাছে কি যেত টাকা ? প্রশ্নের ঝড়ের মধ্যে কার্যত অবিচল ছিলেন  সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। পরিষ্কার বলে দিলেন , যা বলার সিবিআইকেই বলে এসেছেন। এখন তিনি বাড়ি যেতে চান। 


তবে সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। প্রায় ১২ টি মতো প্রশ্ন দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তার উত্তর দিতে হয় কালীঘাটের কাকুকে। সূত্রের দাবি, গোটা ছয়েক কোম্পানি রয়েছে তাঁর নামে। এই কোম্পানিগুলি বিভিন্ন নামে রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে। এই কোম্পানিগুলির দেনদেন, কারা ডিরেক্টর রয়েছেন এবং এই কোম্পানিগুলো কী কাজ করত, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।


CBI এর নোটিস


সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়। তবে কালীঘাটের কাকুর দাবি, সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়। তবে তাঁর স্ত্রীর হাত পুড়ে গিয়েছে বলে সই করে সমন নিতে পারেননি তিনি। তাই কাগজে লিখে তাঁকে নিজাম প্যালেসে আসতে বলা হয়।  বুধবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে হাজির হন কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।     


কুন্তলঘোষের মুখে কালীঘাটের কাকুর কথা শুনেছিলেন বলে দাবি করেন তাপস মণ্ডল। এরপর গোপাল দলপতির মুখেও উঠে আসে কালীঘাটের কাকুর নাম। সিবিআই সূত্রে দাবি, আরও কয়েকজনের কথায় কালীঘাটের কাকুর নাম উঠে আসায় তাঁকে তলব করা হয়েছে। 
স্ত্রী অসুস্থ তবু এসেছি, তারপরও বলবে তদন্তে সহযোগিতা করছি না, সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে বলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি ও আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন কালীঘাটের কাকু।            


আরও পড়ুন : 


আজ দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না অনুব্রত-কন্যা