কলকাতা: নাহ, পাঞ্জাবি নয়, এ এক্কেবারে বাঙালি বিয়ের আয়োজন। লাল বেনারসিতে সেজেছেন আলিয়া ভট্ট, পাশে শেরওয়ানিতে রনবীর কপূর। মুম্বইতে নয়, খাস কলকাতায় বসেছিল তাঁর বিয়ের আসর। আর সেই বিয়েতে বাজল বীরভূমের বাংলা মেঠো গানের সুর!
অবাক হচ্ছেন? মুম্বইতে যখন রণবীর আলিয়ার বিয়ের আসর সাজানো হচ্ছে, তখন খাস কলকাতায় বসেছিল রণবীর-আলিয়ার বিয়ের আসর। কলকাতার অনুরাগীরা তৈরি করেছিলেন রণবীর আর আলিয়ার পুতুল। সেখানে এক্কেবারে বাঙালি মতে বিয়ে সারা। তৈরি হল তত্ত্ব, ঘোড়ার গাড়িতে চেপে এল বর। আর এই বিয়ের আসরে উপস্থিত ছিল টিম 'বেলাশুরু'। সদ্য মুক্তি পাওয়া 'বেলাশুরু'-র নতুন গান 'ইনি বিনি টাপা টুনি'-র তালে তাল মেলালেন ইন্দ্রাণী দত্ত ও দেবলীনা কুমার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পুতুল বিয়ের ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন দেবলীনা কুমারও। খুনসুটি করে তিনি লিখেছেন, 'শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে তিনি রণবীর আলিয়ার বিয়েতে এসেছেন। বিয়ের আসর মাতল বাংলা গানে। বীরভূমের মেঠো সুরে মাতল বিয়ের আসর।
আরও পড়ুন: ঝুলবারান্দা, ওয়াইন আর চাইনিজ... ঠোঁটে ঠোঁটে রেখে নবজীবনের সূচনা রণবীর-আলিয়ার
এই সুর যেন কানে লেখে থাকে। এক মুহূর্তে মুছে দিতে পারে সব মনখারাপ। গত শনিবার নন্দন চত্বরে মহা সমারোহে মুক্তি পেয়েছিল উইন্ডোজ প্রযোজিত, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboprosad Mukherjee) ও নন্দিতা রায় (Nandita Roy) পরিচালিত 'বেলাশুরু'-র (Belashuru) দ্বিতীয় গান 'ইনি বিনি টাপা টিনি'। খালি পায়ে নন্দন চত্বরেই সেই গানের তালে নেচেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta), মনামী ঘোষ (Monami Ghosh), অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya) ইন্দ্রাণী দত্তরা (Indrani Dutta)। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই গান ইউটিউবে দেখে ফেললেন ২ লাখেরও বেশি মানুষ। ইউটিউবে ট্রেন্ডিং বীরভূমের মেঠো সুরের গান।
সদ্য প্রকাশ পাওয়া ভিডিওর চিত্রায়নেও মিশে রইল মজা। ভিডিওতে নাচের তালে ক্যামেরার সামনে যেমন ধরা দিলেন পরিচালক, তেমনই ধরা পড়ল গান রেকর্ডিংয়ের সময় সঙ্গীতশিল্পীদের স্টুডিওর মজার মুহূর্ত। গানের কথা ও সুরের দায়িত্বে রয়েছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। কন্ঠের দায়িত্ব ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty), উপালি চট্টোপাধ্যায় (Upali Chatterjee), অন্যান্যা ভট্টাচার্যের কাঁধে। সঙ্গীতায়োজনে প্রবুদ্ধ চট্টোপাধ্যায় ও উপালি চট্টোপাধ্যায়। গোটা ভিডিওর কোনটা শ্যুটিংয়ের অংশ আর কোনটা ক্যামেরার বাইরের, অভিনেতা, অভিনেত্রীদের উচ্ছ্বাস দেখে আলাদা করা কঠিন।