মুম্বই: ৯০-এর দশকের বলিউডে ছবির গানের জগতে একের পর এক সোনাঝরা গান উপহার দিয়ে আজও গানপ্রেমীদের মনের মণিকোঠায় বেঁচে আছেন সঙ্গীতশিল্পী অলকা ইয়াগনিক (Alka Yagnik)। মাধুরী দীক্ষিত থেকে শ্রীদেবী, তাবড় তাবড় অভিনেত্রীদের হয়ে প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে গান গেয়েছেন অলকা। সম্প্রতি এক গভীর হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা জানান গায়িকা। বিরল এক স্নায়ুরোগে আক্রান্ত অলকা ইয়াগনিক, যার জন্য কানে শুনতে পাচ্ছেন না তিনি। ইনস্টাগ্রামে সকলের উদ্দেশে এই সমস্যার কথা জানান গায়িকা (Alka Yagnik Hearing Loss) আর তাঁর এই পোস্ট দেখেই সোমবার সকাল থেকেই নানা মহলে চর্চা শুরু হয়েছে, অনুরাগীদের মনে জমেছে চাপা কষ্টের মেঘ। কী হয়েছে অলকা ইয়াগনিকের ?  


বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই নিজেকে সমাজের থেকে আড়ালেই রেখেছিলেন অলকা ইয়াগনিক। এদিন সমাজমাধ্যমের পোস্টে অলকা (Alka Yagnik) লেখেন, 'আমার সমস্ত অনুরাগী, বন্ধু ও শ্রোতাদের বলছি, কয়েক সপ্তাহ আগে এক বিমান থেকে বেরিয়ে আসার সময় আমি অনুভব করলাম যে আমি তখন কিছুই শুনতে পাচ্ছিলাম না। এই ঘটনার বেশ কয়েক সপ্তাহ পরে আমার বন্ধু-অনুরাগীদের জন্য সত্য জানাতে এসেছি। আমার কিছু কথা বলতে এসেছি। যে সমস্ত শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করছিলেন যে কেন আমি নিজেকে এখন আড়ালে রেখেছি, তাদের উত্তর দিতে এসেছি। আমার চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানতে পেরেছেন যে, এক বিরল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত আমি যে কারণে আমার শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে। একটি ভাইরাল অ্যাটাকের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। আমি চেষ্টা করছি এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে।'



অলকা ইয়াগনিক সেই পোস্টে আরও লেখেন, 'আমি এই রোগের সঙ্গে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে চাইছি। আমার জন্য প্রার্থনা করবেন।' এর সঙ্গে খুব জোরে ইয়ারফোনে বা লাউডস্পিকারে গান শোনার অভ্যাসের জন্য সতর্কবার্তাও দিয়েছেন গায়িকা। তিনি বলেন, 'আমার শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধু ও অনুরাগীদের জন্য খুব জোরে হেডফোন বা লাউডস্পিকারে গান শোনার ব্যাপারে একটু সতর্কতা দিতে চাই। একদিন কখনও আমার পেশাগত জীবনের ক্ষতিকর দিকগুলির ব্যাপারে আমি বলব। আপনাদের ভালবাসা আর সহানভূতি আমাকে আবার সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করবে। এটুকুই এখন আমার কাছে একটা গোটা পৃথিবী।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Pushpa 2: জল্পনা ছিলই, এবার 'পুষ্পা ২'-এর মুক্তির দিন পিছিয়ে গেল একেবারে বছরের শেষে!