কলকাতা: মুখে চাপ দাড়ি, গায়ে পাঞ্জাবি... একটি পেন হাতে ধরে, নিবিষ্ট মুখে তিনি চেয়ে রয়েছেন সামনের দিকে। হঠাৎ দেখলে মনে হয়.. যেন কোনও এক কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। এই ছবি ২০০০ সালের। বর্তমানে এই মানুষটিই দাপিয়ে অভিনয় করছেন টলিউডে। পুরনো এই ছবি দেখে আপনি কি চিনতে পারছেন এই শিল্পীকে? 


সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিটি শেয়ার করে নিয়েছেন অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য্য (Ambarish Bhattacharyya)। ক্যাপশানে তিনি লিখেছেন, 'ফ্ল্যাশব্যাক ২০০০'। অর্থাৎ, এই ছবিটি ২০০০ সালে তোলা। আজ থেকে ২৪ বছর আগে। অম্বরীশের কাজ শুরু ছোটপর্দায়। 'রাজা অ্যান্ড গজা' ধারাবাহিকের হাত ধরে। সেই সময়ে 'গজা'-র চরিত্রে অভিনয় করে মনজয় করে নিয়েছিলেন এই অভিনেতা। তারপরে, সেখান থেকেই একের পর এক অন্যরকম চরিত্রের সুযোগ আসতে থাকে তাঁর কাছে। 


সময় পেরিয়েছে। অম্বরীশ প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি কেবল হাসির চরিত্র নয়, যথেষ্ট ভারি, গম্ভীর, গভীর চরিত্রেও অভিনয় করতে পারেন। 'লক্ষ্মীছেলে' (Lokkhi Chele), 'ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য'-র (Byomkesh O Durgo Rohossyo) মতো ছবি তাঁর অন্যতম প্রমাণ। এছাড়াও তিনি সদ্য অভিনয় করেছেন 'রক্তবীজ' (Roktobeej)-এও।


সদ্য এবিপি লাইভের সঙ্গে, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিং, বডি শেমিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অম্বরীশ বলেন, ‘ মহিলাদের মতো পুরুষদেরও বডি শেমিং হয়। তবে আমি কখনও এই বিষয়টাকে পাত্তা দিই না। কারণ আমার জীবনের প্রথম কাজটা  তো পাওয়া মোটা হওয়ার সৌজন্যেই। ‘রাজা অ্যান্ড গজা’ নামে যে ধারাবাহিকটি হয়েছিল, সেখানে আমি গজার চরিত্রে সুযোগ পেয়েছিলাম এই মোটা বলেই। আর বডি শেমিংকে আমি কেরিয়ারে কখনোই পাত্তা দিই নি। আমার জীবনে মোটা হওয়াটা কিন্তু ইতিবাচকভাবেই এসেছে। তবে তাই বলে মোট থাকা যে সুস্থতার লক্ষণ এ কথা আমি একেবারেই বলব না। কিন্তু আমি জোর দিই ফিটনেসে। অনেক মানুষ মোটা হয়েও অসুস্থ হন,  সেটা কাম্য নয়। যেমন শারিরীক ফিটনেস জরুরি,  তেমনই দরকার মানসিক ফিটনেসও। আমাদের চারপাশে তো মানসিক ফিটনেস, চিন্তাভাবনার খুব অভাব। মস্তিষ্ক নিয়ে কখনও শেমিং করা হয় না। আমার ধারণা সেটা নিয়ে শেমিং করলে হয়তো কাজ হবে।'


 






আরও পড়ুন: Kanchan-Sreemoyee: বাঙালি মেনুতে এলাহি আইবুড়োভাতের আয়োজন, শ্রীময়ীকে নিজের হাতে খাইয়ে দিলেন কাঞ্চন