কলকাতা:  'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' ও 'দ্য কেরালা স্টোরি', এই দুটি ছবি নিয়েই দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এবার দুটি ছবি নিয়েই বিতর্কিত মন্তব্য় করলেন অভিনেতা ও পরিচালক অমন পালেকর।  সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেন যে,  'দ্য কাশ্মীর ফাইলস', 'দ্য কেরালা স্টোরি' বিশেষ উদ্দেশ্য়প্রণোদিতভাবে তৈরি ছবি! এই ছবি দুটিকে করমুক্তি করার ব্য়পারেও গর্জে ওঠেন তিনি। 


শাহু মহারাজের জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে স্মরণ করে তিনি মন্তব্য করেন যে, ব্রজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন কুস্তিগীর, যাঁরা যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন, সমাজ সংস্কারকরা বেঁচে থাকলে আজ তার শাস্তি হত। অমল আরও বলেন যে শাহু মহারাজ যারা মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছিল তাদের শাস্তি দিয়েছিলেন এবং তিনি গোঁড়া মতাদর্শের বিরুদ্ধে ছিলেন।


প্রসঙ্গত এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য়ের জন্য় খবরের শিরোনামে এসেছিলেন অমন পালেকর। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী , তিনি মুম্বাইয়ের ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট (এনজিএমএ) এ দুই সিনিয়র শিল্পীর রেট্রোস্পেক্টিভ বাতিল করার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।তিনি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে রাজনীতিবিদ এবং নেতারা বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেন্সরশিপের মুখোমুখি হন না কিন্তু যখন তিনি চলচ্চিত্রে এটি দেখানোর চেষ্টা করেন, তখন সেই দৃশ্যগুলি প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়। এপ্রিল ২০১৭ সালে, তিনি আবারও সেন্সর নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং সিনেমাটোগ্রাফ আইনের সংশোধনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে যান।


আরও পড়ুন...


বৃষ্টির মরশুমে স্ন্য়াকস খেতে ইচ্ছে করছে? বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এই সহজ রেসিপিগুলি


অমল পালেকরকে সম্প্রতি ব্যাক-টু-ব্যাক ওয়েব প্রকল্পগুলি দেখা গেছে। রাজ-ডিকে-র ওয়েব সিরিজ ফার্জিতে তিনি শহিদ কপূরের দাদুর ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। অন্য়দিকে, তিনি মনোজ বাজপেয়ী-অভিনীত গুলমোহরে শর্মিলা ঠাকুরের শ্যালকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।


উল্লেখ্য়, 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।ভাবনার ভিত্তিতে মৌলিক অধিকার খর্ব করা যায় না বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুধু তাই নয়, কোনও ধরনের অসহিষ্ণুতা সহ্য় করা হবে না বলেও মন্তব্য় করে শীর্ষ আদালত।


ছবিতে অসত্য এবং বিকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রেক্ষাগৃহে ছবির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেন। রাজ্যের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ছবির প্রযোজক। সেই মামলাতেই তিরস্কৃত হয় রাজ্য।