মুম্বই: ছোট-খাটো ব্যবসা নয়, আস্ত সাম্রাজ্য রয়েছে তাঁদের। সেই আম্বানি পরিবারের উত্তরাধিকারী বলে কথা। বয়স ৩০ পেরনোর আগেই গুরুভার হাতে তুলে নিয়েছেন অনন্ত আম্বানি। পাশাপাশি নতুন জীবনেও প্রবেশ করতে চলেছেন। দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা, বাগদত্তা রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন। এমনিতে সংবাদমমাধ্যম থেকে দূরে থাকলেও, নতুন জীবনে প্রবেশ করার আগে নিজেকে মেলে ধরলেন তিনি। বিশেষ করে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সব প্রশ্নের জবাব দিলেন হাসিমুখেই। (Anant Ambani-Radhika Merchant)
ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা Encore Healthcare-এর CEO বীরেন মার্চেন্টের ছোট মেয়ে রাধিকার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন অনন্ত। বয়সে তাঁর চেয়ে কয়েক মাসের বড় রাধিকা। পড়াশোনা শেষ করে রাধিকা Encore Healthcare-এর বোর্ডের সদস্য হয়েছেন। নাচেও পারদর্শী তিনি। আম্বানি পরিবারের সব অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি একেবারে বাঁধা। কিন্তু নিজের পরিচয়ে যতটা না পরিচিত, অনন্তের হবু স্ত্রী হিসেবেই বেশি পরিচিত রাধিকা। কিন্তু অনন্তের জীবনে তিনিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। (Ambani Wedding)
একথা নিজেই জানিয়েছেন অনন্ত। রাধিকা তাঁর জীবনে এসেছেন, তাতে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হয়, জানিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে অনন্ত বলেন, “আমি সৌভাগ্যবান যে ও আমার জীবনে এসেছে। আমার স্বপ্নের মানুষ ও। জীবনে কখনও বিয়ে করব না বলে ছোটবেলাতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। পশুদের বরাবরই খুব ভালবাসি আমি। কিন্তু রাধিকার সঙ্গে আলাপের পর দেখলাম, ওর মূল্যবোধও আমারই মতো। পশুদের নিয়ে রাধিকাও যত্নশীল, উদার।”
আরও পড়ুন: Kanchan-Anupam: কেবল কাঞ্চন বা অনুপম নন, ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে এর আগেও ট্রোলিংয়ের মুখে পড়েছে টলিউড
অনন্ত এবং রাধিকা পরস্পরের সঙ্গে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলেও, কম কাটাছেঁড়ার মধ্যে পড়েনি তাঁদের সম্পর্ক। রাধিকার পাশে অনন্তকে দেখতে বেমানান লাগে বলেও কটাক্ষ উড়ে এসেছে নেট দুনিয়ায়। এমনিতেই ছোট থেকে স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন অনন্ত। তাই কটাক্ষ-নিন্দা নিয়ে বিব্রত না হলেও, রাধিকার আগমনে তিনি আত্মবিশ্বাস ফিরে পান বলে জানিয়েছেন অনন্ত। তাঁর কথায়, “আমার জীবনে রাধিকা স্তম্ভ। অত্যন্ত কঠিন সময়ে, যখন শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ভুগছিলাম আমি, শক্ত করে আমার হাত ধরে দাঁড়িয়েছিল ও। আমি অসুস্থ বলে মা-বাবাও বুঝতে দেননি কখনও। অনেক সময় চিকিৎসকরাও হাত তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু ওঁরা কখনও আশা ছাড়েননি। রাধিকা আসায় বাড়তি শক্তি পেয়েছি আমি।”
পরিবার এবং রাধিকার জন্যই শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন বলে জানান অনন্ত। তিনি বলেন, “আমাকে সর্বদা হাল ছেড়ে দিতে নিষেধ করতেন ওঁরা, লড়াই চালিয়ে যেতে বলতেন। আমি তো ছোট থেকেই অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছি, তা-ও কেউ হাল ছাড়েননি। আমার থেকেও বেশি যন্ত্রণায় আছেন বহু মানুষ। তাই যা পেয়েছি, তার জন্য ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ আমি। কে, কী বলল, কখনও মাথা ঘামাইনি। পরনিন্দা-পরচর্চা কিছু লোকের স্বভাব। আমার জন্য পরিবার এবং রাধিকাই সব।” এবছরই সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন অনন্ত এবং রাধিকা। তাঁদের প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানসূচি ঘিরেও আগ্রহের শেষ নেই। এমনকি বিদেশের সংবাদমাধ্যমেও সেই নিয়ে বিশদ প্রতিবেদন বেরিয়েছে। দেশ-বিদেশের তাবড় ব্যক্তিবিশেষ আমন্ত্রিত বিয়েতে। প্রায় ২৫০০ পদ রয়েছে মেনুতে। নাচে-গানে আসর জমাবেন বিশ্বের তাবড় বড় শিল্পী।