করোনার প্রকোপে প্রায় সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ করে দিয়েছে সমস্ত দেশের সরকার। শিশুদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়েই নেওয়া হয়েছে এই পদক্ষেপ। কিন্তু গোটা পৃথিবী জুড়ে কেবল স্কুল থেকে পাওয়া খাদ্যের ওপরেই নির্ভর করে বহু দরিদ্র শিশু। স্কুল বন্ধ থাকলেও যাতে শিশুদের কাছে পৌঁছে যায় খাবার, সেইজন্যেই এই উদ্যোগ জোলির। সূত্রের খবর, এর আগেও স্বল্প আয় করা পরিবার ও সেই পরিবারের শিশুদের অন্নসংস্থানের জন্য ২ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিলেন অ্যান্জেলিনা।
অ্যান্জেলিনা বলেন, ‘স্কুলগুলি বন্ধ হবার কারণে গোটা বিশ্ব জুড়ে এক বিলিয়ানের অর্থাৎ ১০০ কোটিরও বেশী পড়ুয়া স্কুলে যেতে পারছে না। অনেক শিশুই নির্ভর করে কেবল স্কুলের খাবারের পুষ্টির ওপর। কেবল আমেরিকাতেই ২২ মিলিয়ান পড়ুয়া স্কুলের খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল। ‘নো হাঙ্গগ্রি কিডটস’ সংস্থা যতটা সম্ভব চেষ্টা করছে পড়ুয়াদের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার।’
রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও কাজ করেছেন অ্যান্জেলিনা। ২০০৬ সালে অ্যান্জেলিনা, তাঁর প্রাক্তন স্বামী ব্যাড পিট ও পুত্র ম্যাডক্স কম্বোডিয়ার শিশুদের কাছে শিক্ষার সমস্ত সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কম্বোডিয়ার ১০টি স্কুল চালানোর জন্য অনুদান দিয়েছিলেন তাঁরা। এছাড়াও অ্যান্জেলিনা একা আফগানিস্থান ও কেনিয়ায় বেশ কিছু মেয়েদের স্কুলে অনুদান দিয়েছিলেন।
অ্যান্জেলিনা ছাড়াও জেনিফার গার্নার ও অ্যামি অ্যাডামাস স্কুলের শিশুদের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুদান দিয়েছেন।