হালে অনির্বাণ মানেই দর্শক মনে ঝড়। বক্সঅফিসে সাফল্যের গ্রাফ যাই হোক না কেন, অনির্বাণের অভিনয় ক্রিটিক্যালি অ্যাক্লেইমড। কখনও সিনেমার অভিনয়ে,কখনও বা সিএএ-র প্রতিবাদে কবিতা পাঠে, সবসময় লাইম লাইটে তিনি। এবার অনির্বাণ নজরে এলেন একেবারে অন্যভাবে। তাঁর নতুন ছবির টিজার নিয়ে। শুরুতেই চমকে দেবে তাঁর কণ্ঠস্বর...'এ মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়, এই এই বিস্তীর্ণ শ্মশান আমার দেশ না…'।  নাবারুণ ভট্টাচার্যের এই কবিতার সঙ্গে ড্রাকুলার কী সম্পর্ক, শুরুতেই দ্বন্দ্বে দর্শক।
তারপরই হাড়হিম করা কিছু দৃশ্য।




রক্তপিপাসু ড্রাকুলা শিরদাঁড়ায় বইয়ে দেবে শীতল স্রোত। ড্রাকুলা বা ভ্যাম্পায়ার নিয়ে হলিউডে কম ছবি হয়নি। তবে বাংলা ছবিতে রক্তখেকো ড্রাকুলা নিয়ে ছবি বেশ বিরল। এবার সেই বিষয় নিয়েই কাজ করলেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য। ছবির নাম 'ড্রাকুলা স্যর'।
এই ছবি বাঙালি ড্রাকুলার। টিজারে বার্তা, 'রক্তপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক'। কিন্তু এ ছবি ভৌতিক নয়, বরং সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার, তেমনটাই জানা যাচ্ছে। অভিনয়ে অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও মিমি চক্রবর্তী। আগে এই জুটিকে ‘ধনঞ্জয়’ ছবিতে দেখা গেলেও, স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা যায়নি।
শনিবার প্রকাশ্যে এল ড্রাকুলা স্যারের টিজার। যা রীতিমতো শিহরণ জাগিয়েছে দর্শক মহলে।
দেবালয়ের এই ছবিতে উঠে আসবে সত্তর দশক, নকশাল আমলের কলকাতা শহরের কথা। সেই সময়কার রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেক্ষাপটেই তৈরি এই ছবি। তাই টিজারের শুরুতেই অনির্বাণের কন্ঠে শো, এই এই বিস্তীর্ণ শ্মশান আমার দেশ না…'।

জানা গেছে, গল্পে এক গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক রক্তিমের ভূমিকায় অনির্বাণ ভট্টাচার্য, যাঁর দাঁতের জন্যই পরিচিতি ড্রাকুলা স্যার বলে। কিন্তু কোনওভাবে রক্তিম পৌঁছে যায় পুলিশ হেফাজতে। তার সঙ্গে কীভাবেই বা জড়িয়ে পড়ে মিমি ওরফে মঞ্জরীর জীবন, জানতে দোখতে হবেই ড্রাকুলা স্যর। ১ মে মুক্তি পাবার কথা ছবিটির।