কলকাতা: পরিচালক থেকে শুরু করে অভিনেতা অভিনেত্রীরা, প্রথম থেকেই তাঁরা দাবি করেছিলেন, এই ছবি সপরিবারে দেখার। মুক্তির পরে সেই 'বল্লভপুরের রূপকথা' যখন পরিবারকে নিয়ে দেখতে যাচ্ছেন মানুষ, তখন স্বস্তির সুর পরিচালকের গলায়। দর্শকেরা বলছেন, বড়পর্দায় পরিচালক হিসেবে পা রেখে বাজিমাত করেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য (Anirban Bhattacharyya)। আর পরিচালক নিজে? বড়পর্দায় প্রথম ছবি মুক্তির পরে এবিপি লাইভের সঙ্গে কথা বললেন পরিচালক অনির্বাণ।
অভিনেতা হিসেবে এর আগে একাধিকবার সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অনির্বাণ, প্রচারেও গিয়েছেন। পরিচালক হিসেবে এই অভিজ্ঞতা কতটা নতুন? একটু হেসে অনির্বাণ বললেন, 'খুব একটা নতুন নয়। 'মন্দার'-এর সময় পরিচালকের জায়গা থেকেই অনেক কথা বলেছিলাম। তবে বড়পর্দার বিষয়টা একেবারে আলাদা। আর ছবি মুক্তির আগে আর পরে কথা বলার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমরা গোড়ার থেকেই বলেছিলাম এই ছবি সপরিবারে দেখার। যে উৎসাহ নিয়ে মানুষ পরিবারকে নিয়ে বল্লভপুরের রূপকথা দেখতে যাচ্ছেন, উপভোগ করছেন, সেটা ভাল লাগছে। এটা প্রমাণিত যে, আমরা মিথ্যে বলিনি।'
অনেকেই বলছেন, 'মন্দার'-এর পরে পরিচালক অনির্বাণের ওপর যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, তা কানায় কানায় পূর্ণ করেছেন অনির্বাণ। নিজেকে নিয়ে কতটা খুশি নতুন পরিচালক? অনির্বাণ বলছেন, 'মন্দারে যা যা ভুল হয়েছে, আমরা চেষ্টা করেছিলাম বল্লভপুরের রূপকথায় তা শুধরে নিতে। যদিও দুটো গল্প থেকে শুরু করে গল্প বলার ধরণ, সবই আলাদা। অভিনয় থেকে শুরু করে পরিচালনা, সব ক্ষেত্রেই একটা চেষ্টা থাকে আগের কাজের খামতিগুলো মিটিয়ে নেওয়ার। বল্লভপুরের রূপকথায় তা কিছুটা হয়েছে আবার অনেকটাই হয়নি। এর পরের কাজে আবার চেষ্টা থাকবে আরও ভাল কাজ করার। এমন চলতে চলতে হয়তো ৬-৭ বছর পরে আমার মনে হবে একটা প্রায় সঠিক ছবি বানাতে পেরেছি।'
তাহলে কি আগামী দিনগুলোর প্রতি বছরই নতুন ছবির প্রত্যাশা করছেন দর্শকেরা? হেসে অনির্বাণ বললেন, 'একেবারেই না। আগামী ৭ বছরে ২ থেকে ৩টে ছবি করতে পারি বড়জোর। এখনও কোনও পরিকল্পনাই করিনি। আপাতত অভিনয়টাই করব মন দিয়ে।'