কলকাতা: ক্যামেরায় ধরে রাখা রূপান্তরকামীদের (transgender) স্বল্প। এবার স্বল্পদৈর্ঘ্যের (short film) ছবিতে দেখা যাবে তাঁদের গল্প। পরিচালক অনির্বেদ চট্টোপাধ্য়ায় পরিচালিত এই ছবির নাম 'উত্তরণ - হিউম্যান বিয়ন্ড জেন্ডার' (Uttoron - Human Beyond Gender)। প্রসঙ্গত, এটিই অনির্বেদের পরিচালিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্যের নির্বাক চলচ্চিত্র (Silent Film)।
'উত্তরণ', নির্বাক স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র
'উত্তরণ - Human Beyond Gender', অনির্বেদ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের নির্বাক চলচ্চিত্র। এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র শারীরিকভাবে পুরুষ হলেও তাঁর মধ্যে নারীসত্ত্বা ভীষণভাবে বিরাজমান। তাঁর পোশাক, পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে আদব কায়দা, শখ, সাধ সব কিছুতেই নারীভাব প্রকট হয়ে ওঠে। যা তাঁর ঘরে বাইরে লাঞ্ছনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাড়িতে বাবা, মা, আত্মীয়, বন্ধু থেকে শুরু করে বৃহত্তর সমাজ তাঁকে বুঝিয়ে দেয় যে, 'এসব চলবে না, চলবে না'। কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁর যে উত্তরণ, সেটাই এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়বস্তু। প্রথা ভেঙে কেন্দ্রীয় চরিত্রের যে নৈতিক - সামাজিক - আত্মিক উত্তরণ, তা আমাদের সকলের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
পরিচালকের কথায়, 'এর আগে আমি সার্কাসের জোকার (দেবরাজ মুখোপাধ্যায় ও সদ্য প্রয়াত অভিনেত্রী মডেল বিদিশা দে মজুমদার অভিনীত 'ভাঁড়') এবং মেকআপ আর্টিস্টদের কষ্টের জীবন নিয়ে (সঞ্জীব সরকার অভিনীত 'যে জন থাকে আড়ালে') দুটো শর্ট ফিল্ম বানিয়েছিলাম। বেশ কয়েকটা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেগুলি সমাদৃতও হয়েছিল। তবে এই প্রথম আমি সমাজের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে একটি নির্বাক স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করলাম। নাম, 'উত্তরণ' (Human Beyond Gender)। ছবির অফিসিয়াল পোস্টার গত ৫ জুন বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক - অভিনেত্রী সুদেষ্ণা রায়ের হাতে উন্মোচিত হয়েছে।'
স্বল্প দৈর্ঘ্যের এই ছবিতে অভিনয় করেছেন কাজী আলি আফতাব, যুহান খান, সপ্তর্ষি মুখোপাধ্যায়, অম্লান দাস, সোমা দাস, ডক্টর রবি শঙ্কর প্রসাদ রবি, মনিমালা চক্রবর্তী, ভাস্বতী ভট্টাচাৰ্য, রাজীব সরকার ও আরও অনেকে। প্রযোজনার দায়িত্বে জিনাত রেহেনা ইসলাম এবং কাহিনি ও চিত্রনাট্যকার পার্বতী মোদক।
আরও পড়ুন: ABP Exclusive: পরাণ-লিলির 'সার্কাসের ঘোড়া' ছবির প্রথম পোস্টার এবিপি লাইভে এক্সক্লুসিভ
প্রাথমিকভাবে পরিচালক ও প্রযোজকের পরিকল্পনা যে ছবিটি দেশ বিদেশের বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হোক। তারপর অনলাইনে দেখতে পাওয়া যাবে ছবিটি।