কলকাতা: টলিউডে অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য়ের (Anirban Bhattacharya) মতো জনপ্রিয় অভিনেতা কাজ পাচ্ছেন না, এই খবরটা কার্যত নড়িয়ে দিয়েছিল সকলকেই। অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যের উত্থানের সাক্ষী গোটা টলিউড, তাঁর দক্ষতা নিয়েও কোনোদিন কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। এ হেন অনির্বাণ যখন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, তাঁর হাতে কাজ নেই.. তখন নড়েচড়ে বসেছিল টলিউড। পরিচালক ও ফেডারেশনের মধ্যে চলা দ্বন্দ্ব গড়িয়েছে আদালতে, তবে দিনে দিনে পরিচালকদের সংখ্যা কমতেই থেকেছে। মামলা করায় কোপ পড়েছে যে পরিচালকদের কাজের ওপর, তাঁদের মধ্যে অনির্বাণ আর পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee) ছিলেন অন্যতম। তবে ইতিমধ্যেই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন পরমব্রত। তবে অনির্বাণ?
'হুলিগানইজম'-এর হাত ধরে দর্শকদের নতুন নতুন গান উপহার দিলেও, রুপোলি পর্দায় কাজের অফার পাচ্ছেন না অনির্বাণ। অভিনেতার সঙ্গে অঞ্জন দত্তের ভাল সম্পর্কের কথা ইন্ডাস্ট্রির কারোও অজানা নয়। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে, বিভিন্ন সময়ে অনির্বাণ স্বীকার করেছেন, তিনি অঞ্জন দত্তের গুণগ্রাহী। অঞ্জন দত্তের সঙ্গে কাজ ও করেছেন অনির্বাণ। তবে অনির্বাণের কাজ না পাওয়া নিয়ে কী বলছেন অগ্রজ অঞ্জন দত্ত? এবিপি লাইভ বাংলার তরফে অভিনেতার কাছে এই প্রশ্ন রাখা হলে তিনি বলেন, 'অনির্বাণের সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। আমি অনেক বিষয়ই এড়িয়ে চলি। কারও কি Stand.. এটা আমি এড়িয়ে চলি। অনির্বাণের কী হয়েছে, অনির্বাণ বুঝে নেবে। আমি কেন তার মধ্যে ঢুকব? কেনই বা বলব! সিনেমা যখন করব, তখন ওকে আমি কিছু বলব। ওর সিনেমা দেখে ওকে আমি মতামত দিতে পারি। কিন্তু ওর ব্যক্তিগত জীবনে ও একটা স্টান্টস নিচ্ছে, সেটা রাজনৈতিকভাবে ঠিক না ভুল, সেটা আমি কেন বলব? আমি নিজে যখন কাজ করব, আমি মনে করব, আমার কিছু টেকনিশিয়ান দরকার লাগবে.. তখন সেখান থেকে টেকনিশিয়ান নেওয়া হয় সেখান থেকে নিলেই হল। আমি কি পারব আমার বাড়ির সেলুনের লোকটাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বলতে, 'চলুন আমার নায়িকার চুলটা একটু ঠিক করে দেবেন..' আমি গিল্ড থেকে একটা নিয়ে নেব। এখন সেখানে কত লোক থাকা উচিত, কত লোক থাকা উচিত নয়... এই নিয়ে আলোচনা আমি করে যাব। আমি একরকম.. আমি এক ধরনের মানুষ। মানিয়ে নিয়ে সারা জীবন চলে গিয়েছি। সেটাকে কেউ কেউ বলতে পারে, অঞ্জন দত্ত সারা জীবন কমপ্রোমাইজ করেছে। আমি বলি, 'আমার যেটা প্রয়োজন, সেটা আমি করছি। আমি কোনোদিন কোনও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কোনও সাহায্য নিইনি, কারণ সেটা আমার প্রয়োজন হয়নি।'