কলকাতা: ধর্মেন্দ্র (Dharmendra) প্রয়াত হয়েছেন, এখনও ১ মাসও কাটেনি। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিয়ে নানা জল্পনা, নানা ঘটনা সামনে এসেছে। এ কথা সবাই জানেন যে, খুব অল্প বয়সে ধর্মেন্দ্রর বিয়ে হয়েছিল প্রকাশ কৌরের সঙ্গে। পরবর্তীকালে তিনি হেমা মালিনী (Hema Malini)-র প্রেমে আসক্ত হন ও তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। হেমা মালিনী ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী, তবে শোনা যায় জীবনের দীর্ঘ একটা সময় হেমা মালিনীর সঙ্গেই কাটিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। তবে শেষ বয়সে নাকি প্রকাশ কৌরের সঙ্গেই একটি ফার্ম হাউজে থাকতেন তিনি। তবে ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পরে, স্পষ্ট বিভেদ দেখা গিয়েছে দেওল পরিবার আর হেমা মালিনীর পরিবারের মধ্যে। সদ্যই এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন শোভা দে। 

Continues below advertisement

সম্প্রতি, বরখা দত্তকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শোভা দে বলেন, ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পরে দেওল পরিবার একেবারে একঘরে করে রেখেছিল হেমা মালিনী আর তাঁর পরিবারকে। তবুও হেমা মালিনী স্ত্রী হওয়ার ধর্ম পালন করেছেন বলেই দাবি শোভা দে-র। আলাদা করে স্মরণসভা আয়োজন করেছেন হেমা মালিনী। শোভা দে আরও বলেন, 'হেমা মালিনীর ২ মেয়ে রয়েছে, ধর্মেন্দ্রকে হারানো তাঁর কাছে একটা ভীষণ ব্যক্তিগত শোক। তবে ধর্মেন্দ্রকে হারিয়ে হেমা মালিনী বিভিন্ন পাবলিক ইভেন্টে গিয়েছেন। সেখানে তাঁকে ঘিরে ধরেছে মিডিয়া, সেখানে তিনি সবার সামনে কান্নাকাটি ও করতে পারতেন, শোকপ্রকাশ ও করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। একেবারেই কোনও কথা বলেননি ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু নিয়ে।' শোভার মতে, হেমা মালিনী যথেষ্ট প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব আর তিনি সবার সামনে নিজের মর্যাদা বজায় রেখেছেন। শোভার মতে, হেমা মালিনী মিডিয়ার সামনে কান্নাকাটি করে শোকপ্রকাশ করতেই পারতেন, আবেগ দেখাতে পারতেন, সহানুভূতি কুড়োতে পারতেন... কিন্তু তা তিনি কিছুই করেননি। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মেন্দ্র আর নিজের একাধিক ছবি শেয়ার করে হেমা মালিনী লিখেছিলেন, 'ধরমজী..উনি আমার কাছে অনেক কিছু ছিলেন। একজন ভালবাসার স্বামী, একজন আদর্শ বাবা, আমার ২ মেয়ে, এশা আর অহনার বাবা, বন্ধু, ফিলোজফার আর পথপ্রদর্শক, একজন কবি.. আমি সবকিছুর জন্য ওঁর কাছেই গিয়েছি। আমার কাছে উনি ছিলেন সবকিছু। আমার খারাপ এবং ভাল সময়ে, সবসময় ওঁকে পাশে পেয়েছি। উনি সবসময়ে পরিবারের জন্য নিজেকে অর্পণ করে দিতেন। বন্ধু হিসেবে.. প্রত্যেকের প্রতি ওঁর একই রকম নজর ছিল।'

Continues below advertisement