কলকাতা: বাঙালির নস্টালজিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বেলা বোসকে খুঁজতে গিয়ে নাকাল হচ্ছেন পরিচালক-প্রযোজক
পর্দায় 'বেলা বোসের জন্য' হাত মিলিয়েছেন পরিচালক অঞ্জন দত্ত ও প্রযোজন রানা সরকার। তবে বেলা বোসের চরিত্রে কাকে দেখা যাবে এ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। টলিপাড়ার জোর গুঞ্জন, বেলা বোসের চরিত্র কাকে অফার করা হবে তা নিয়ে পরিচালক আর প্রযোজকের মধ্যে মতান্তর।
'এটা কি ২৪৪১১৩৯?' নম্বরটা শুনলেই বাঙালির মনে একটাই নাম আসে, 'বেলা বোস'। ১৯৯৮ সাল থেকে এই বিচ্ছেদের গান শুনেই প্রেমে মজেছে বাঙালি। আর বেলা বোসের স্রষ্টা অঞ্জন দত্ত আপাতত ব্যস্ত পরিচালনা, অভিনয় আর নতুন গান নিয়ে। সদ্য ১০ বছর পূর্ণ করেছে তাঁর পরিচালিত ছবি, 'রঞ্জনা আমি আর আসব না'। এবার পালা বেলা বোসের।
বড়পর্দায় পার্নো মিত্র অঞ্জন দত্তের আবিষ্কার। ১০ বছর পর বেলা বোসের চরিত্রেও কি দেখা যাবে তাঁকে? জল্পনা উস্কে পার্নোর সঙ্গে সম্প্রতি একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন রানা সরকার। প্রযোজকের ঘনিষ্ঠ মহলের কারও কারও দাবি, পার্নোই নাকি তাঁর প্রথম পছন্দ। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, পার্নোকে বেলার চরিত্রে ভাবতে নারাজ অঞ্জন। বিধানসভা নির্বাচনের সময় পার্নোর রাজনীতিতে যোগদান করায় নাকি হতাশ হয়েছিলেন অঞ্জন। টলিপাড়ায় কানাঘুষো, তারপর থেকেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে অঞ্জন আর পার্নোর মধ্যে। কেউ কেউ বলছেন, সম্ভবত সেই কারণেই নতুন ছবিতে পার্নোর সঙ্গে কাজ করতে নারাজ অঞ্জন। অন্যদিকে রঞ্জনাকেই নাকি 'বেলা বোস' হিসেবে দেখতে চান রানা। পরিচালককে এড়িয়ে পার্নোর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করলেও, এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি রানা।
অঞ্জনের সঙ্গে দূরত্বের জন্যই পার্নোর কি হাতছাড়া হচ্ছে বেলা বোস? এবিষয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি অভিনেত্রীও। এবিপি লাইভের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। অন্যদিকে অঞ্জন দত্তের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পরিচালকের ফোন বেজে যায়। উত্তর পাওয়া যায়নি হোয়াটসঅ্যাপেও।
এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এর আগে রানা বলেছিলেন, 'এতবছর ধরে মানুষ কল্পনা করে এসেছেন বেলা বোস কেমন হবে। ইচ্ছা আছে দর্শকদের থেকেও মতামত জানতে চাইব। সেটা টলিউডের কেউ হতে পারেন, বলিউডের কেউও হতে পারেন। অথবা বাংলাদেশের কোনও অভিনেত্রী।'
বেলা বোসের জুতোয় কে পা গলান, তা নিয়ে আচমকাই তৈরি হওয়া সাসপেন্স যে কোনও থ্রিলারকেও হার মানাতে পারে।