অনুরাগের বিরুদ্ধে ট্যুইটারে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দফতরকে ট্যাগ করে অনুরাগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন পায়েল। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অভিনে্ত্রী কঙ্গনা রানাউত। এইসব ট্যুইট যুদ্ধের পর সোমবার অনুরাগের হয়ে অভিনেত্রী কলকি লিখেছেন, ’’ট্রোলস তো ট্রোল করেঙ্গে...।‘‘এরপর তিনি লেখেন ’’প্রিয় অনুরাগ সোশ্যাল মিডিয়ার এই সার্কাসকে তোমার কাছে আসতে দিও না। তোমার চিত্রনাট্যে তুমি বরাবর মেয়েদের স্বাধীনতার জন্য লড়েছ। কর্মক্ষেত্র এমনকি ব্যক্তিগত জীবনেও মহিলাদের সততার পক্ষে সওয়াল করেছ, আমিই তার সাক্ষী। পেশাগত জীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনেও তুমি আমাকে সবসময় তোমার সমান চোখে দেখেছ, আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পরও আমার মর্যাদা রক্ষার জন্য তুমি আমার পাশে দাঁড়িয়েছ। কর্মক্ষেত্রে যখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছি তখনও তুমি আমার পাশে থেকেছ। এটা একটা অদ্ভূত সময়, যখন সবাই একে অপরের বদনাম করতে ব্যস্ত। ভিত্তিহীন অভিযোগ করতে ব্যস্ত। এই ধরনের মিথ্যা দাবি বিদ্বেষমূলক এবং বিপজ্জনক। এটা পরিবার, বন্ধু এবং সর্বোপরি দেশকে শেষ করে দেয়। কিন্তু ভার্চুয়াল জগতের এই রক্তস্রোতের বাইরে একটা জায়গা আছে, যেটা সম্মানের, যেখানে তোমার চারপাশে যারা আছে, তাদের প্রতি আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। আমি জানি তুমি সেই জায়গাটার সঙ্গে খুবই পরিচিত।‘‘
২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অনুরাগের ঘরনী ছিলেন কলকি। তারপর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু তার বছর পাঁচেক পরেও অনুরাগের পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী। গতকাল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন অনুরাগ। এদিন তাঁর আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা খেমানি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ’’যৌন হেনস্থার এই মিথ্যা অভিযোগে আমার মক্কেল যথেষ্ট ব্যথিত। এ ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা, অসত্য। এটা খুবই দুঃখজনক যে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে মিটু-র মতো আন্দোলন স্রেফ চরিত্রহননের হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল। এই ধরনের অলীক অভিযোগ সত্যিকারের আন্দোলনের স্পৃহাকেও দমিয়ে দেয়। আমার মক্কেলকে আইনের ধারা অনুযায়ী তাঁর অধিকার এবং প্রতিকার সম্পর্কে ভাল করে বুঝিয়ে দিয়েছি। আমি চাইব তিনি তার পূর্ণ ব্যবহার করুন।‘‘