মুম্বই: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের সদস্যরা সম্প্রতি অভিষেক চৌবে পরিচালিত, অনুরাগ কাশ্যপ প্রযোজিত ‘উড়তা পঞ্জাব’ ছবি থেকে পঞ্জাব সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য, ছবিতে পঞ্জাবের পটভূমি সবকিছু ছেঁটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ছবিতে পঞ্জাবের মাদক চক্র এবং তার সঙ্গে প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে যুক্ত রয়েছে সে গল্পই বলা হয়েছে । শুধু তাই নয় সেন্সর বোর্ডের দাবি, কোনও এক কল্পিত জায়গায় ছবিটি শ্যুট করতে হবে।

সেন্সর বোর্ডের এই অতিরিক্ত কড়াকড়িকে ভালভাবে নেননি ছবির পরিচালক থেকে প্রযোজক কেউই। অনুরাগ কাশ্যপের দাবি, সেন্সর বোর্ডের সমস্ত দাবিই যদি মানা হয়, তাহলে ছবির নামও ‘উড়তা পঞ্জাব’-এর বদলে শুধু ‘উড়তা’ করতে হবে।




অনুরাগের দাবি, সত্যি ঘটনার পটভূমিতে তৈরি হওয়া ‘উড়তা পঞ্জাব’ ছবির থেকে সত্যি আর কিছু নেই। সেই সত্যি ঘটনাকে কেউ বা কোনও সংস্থা যদি আড়াল করতে চান, তাহলে তাঁরা আসলে মাদক চক্রগুলোকেই আড়াল করার চেষ্টা করছেন।

সূত্রের দাবি, ছবি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আপত্তি এসেছে পঞ্জাবের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী অকালি দল এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল এবং তাঁর ছেলের থেকেই এসেছে। প্রসঙ্গত, পঞ্জাবে মাদক চক্রের রমরমা এবং তার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে একাধিকবার কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির তোপের মুখে পড়তে হয়েছে সেখানকার শাসক দলকে। আগামী বছর সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সত্য ঘটনা অবলম্বনে সেই মাদক ব্যবসার পটভূমিতেই তৈরি হওয়া এই ছবি যদি পর্দায় মুক্তি পায়, তাহলে আরও অশান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পঞ্জাবের বর্তমান শাসক দল।

অনুরাগ আরেকটি টুইটে ভারতের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি এক টুইটে লেখেন ‘আমি অনেকদিনই ভাবতাম উত্তর কোরিয়ায় চলে যাব, এখন বুঝেছি সেখানে যাওয়ার বিমান ধরার আর কোনও প্রয়োজন নেই’।

 



প্রসঙ্গত, সমস্ত টুইটারাইটরা যখন সেন্সর বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, তখন অনুরাগ আক্রমণের পথ নিয়েছেন। আশা করা যায় তিনি এবারেও মামলা জিতে যাবেন।
আগামী ১৭ জুন এই ছবি পর্দায় মুক্তি পাবে। ‘উড়তা পঞ্জাব’-এ অভিনয় করেছেন শাহিদ কপূর, আলিয়া ভট্ট, দিলজিত দোসাঞ্জ এবং করিনা কপূর।