কলকাতা: দিনটা ছিল ক্রিসমাসের রাত। গিরিশ পার্ক এলাকার ফুটপাতে ঘুমে অচেতন পথশিশুরা। বেশ ঠাণ্ডা পড়েছিল সেই রাতে। হঠাৎ লাল পোশাকে নিজেকে মুড়ে সেখানে পৌঁছে গেলে এক মহিলা। সঙ্গী ছিলেন আরও কয়েকজন। ছোটদের ঘুম ভাঙিয়ে তাদের হাতে তুলে দিলেন শীতের পোশাক, কেক, চকোলেট আর একগুচ্ছ আকর্ষণীয় উপহার। সেই রাতের খুশিটা চিরকাল মনে থাকবে সেই রাতের সেই লাল পোশাকে মোড়া সান্টাক্লজ ওরফে অপরাজিতা আঢ্যর (Aparajita Adhya)।


আলো ছায়ায় কেটেছে অভিনেত্রীর ২০২১ সালটা। করোনা, অসুস্থতা সব মিলিয়ে ভালো মুহূর্ত যেন খুঁজে পাওয়াই দায়। তবুও বছর শেষের ওই দিনটা কখনও ভুলবেন না অপরাজিতা। অভিনেত্রী বললেন, 'প্রতি বছরই ক্রিসমাসের আগের রাতটা পরিবারের সবাইকে নিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়ি রাস্তায়। ছোটদের জন্য ছোট্ট ছোট্ট গুডি ব্যাগ তৈরি করা হয়। সেখানে শীতের জ্যাকেট থাকে, চকোলেট থাকে, খেলনা থাকে আর থাকে ক্রিসমাস কেক। রাত্রে পথশিশুদের হাতে সেগুলো তুলে দিই। ওরা যখন ঘুমায়, তখন আমরা যাই। ঘুম থেকে ডেকে ওদের তুলে উপহার দেওয়া যে কী অনবদ্য অভিজ্ঞতা। ওদের সেই হাসি আর আনন্দটা ভোলার নয়। গোটা বছরটা এত ঝড়ঝাপটার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, ওই দিনটার অনাবিল আনন্দ যেন সব কষ্ট ভুলিয়ে দিতে পারে। বছরের শেষে এসে ক্রিসমাসের রাতটা বড় ভালো কেটেছে আমাদের।'




কোভিডকালেও গোটা বছরে একাধিক নতুন ছবির কাজ করেছেন অপরাজিতা। নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির জন্য প্রশংসিতও হয়েছেন। এদের মধ্যে সেরা মুহূর্ত বেছে নিতে বললে? অপরাজিতা বললেন, 'আমি 'চিনি'-র জন্য 'ফাফদা' পুরস্কার পেয়েছি। সবসময় জীবনে পুরস্কার মানেই ভালোলাগা।' অপরাজিতা মানেই পরিবার আর পারিবারিক বন্ধনের ছোঁয়া। সেই ছোঁয়া দিয়েই অভিনেত্রী বললেন, 'বছরের শেষে দার্জিলিং আর উটি ঘুরতে গিয়েছিলাম। এত খারাপের মধ্যে ওই ঘুরতে যাওয়াটুকু যেন একঝলক তরতাজা হাওয়া। আর ৬ বছর পর কাকাশ্বশুরের বাড়িতে পিকনিক করতে গিয়েছিলাম। আমায় আইবুড়োভাতের মতো করে থালায় সাজিয়ে খেতে দিয়েছিলেন। এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই ভালো থাকার রসদ হয়ে থেকে যায়...