জোহানেসবার্গ: কেরিয়ারের সঙ্কটময় পরিস্থিতি চলছে। ব্যাটে রান পাওয়াটা ভীষণভাবে দরকার ছিল অজিঙ্ক রাহানে ও চেতেশ্বর পূজারার। কঠিন সময় সেই কাজটাই করলেন ২ অভিজ্ঞ ভারতীয় ব্যাটার। দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে অর্ধশতরান হাঁকালেন রাহানে (ajinkya rahane) ও পূজারা (cheteswar pujara)। মূলত তাঁদের ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে প্রোটিয়াদের সামনে ২৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখল টিম ইন্ডিয়া।


আগের দিনের শেষে ভারতের স্কোর ছিল ২ উইকেট হারিয়ে ৮৫। অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছিলেন রাহানে ও পূজারা। এদিন খেলার শুরু থেকেই ২ জনে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন। প্রথমে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন পূজারা। তার পরের ওভারেই হাফ সেঞ্চুরি করেন রাহানেও। তবে রাবাদার বলে পরপর ফিরে যান ২ জনেই ড্রিঙ্কসের পরেই। ৫৮ রান করে ক্যাচ আউট হন রাহানে। পূজারার ঝুলিতে ৫৩ রান। তিনি এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন। শেষদিকে লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গে নিয়ে অপরাজিত ২৪০ রানের ইনিংস খেলেন হনুমা বিহারী। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৬৬ রানে। 


তার আগে, মঙ্গলবার চাপের মুখে ভারতের রক্ষাকর্তা হয়ে উঠলেন শার্দুল ঠাকুর (Shardul Thakur)। মুম্বইয়ের পেসার বল হাতে নিলেন সাত উইকেট। তাঁর বোলিংয়ে ছারখার হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। প্রোটিয়া শিবিরের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল ২২৯ রানে। ভারতের চেয়ে মাত্র ২৭ রানের লিড নিতে পেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।


ওয়ান্ডারার্সে বল হাতে আগুন ছোটালেন ভারতীয় পেসার শার্দুল ঠাকুর (Shardul Thakur)। টেস্টে প্রথমবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন মুম্বইয়ের পেসার। শেষ পর্যন্ত থামলেন ৬১ রানে ৭ উইকেট নিয়ে। তাঁর দাপটেই দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটাল ভারত। ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন চা পানের বিরতির কিছুটা পরে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস মাত্র ২২৯ রানে শেষ হয়ে যায়।


আরও পড়ুনঃ আউট হয়ে মাঠেই এলগারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ালেন কে এল রাহুল