কলকাতা: ৭১-এর কলকাতা। অস্থির সময়। তার ছায়া পড়েছে বাণিজ্যিক থিয়েটারেও। তখন বাংলায় থিয়েটারের রমরমা, অনেক বড় অভিনেতারাই নিয়মিত থিয়েটার করেন সেই সময়ে। কিন্তু ৭১-এর থিয়েটার তো আর লেন্সবন্দি করা হয়নি। ফলে বাণিজ্যিক থিয়েটারের সেই যুগ হারিয়ে গিয়েছে অতলেই। গোয়েন্দা গল্পের বাঁধনে সেই সময়কালকেই তুলে ধরেছেন অরিন্দম শীল (Arindam Sil)। ছবির নাম 'ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ' (Byomkesh Hatyamancha)।
আরও পড়ুন: Brahmastra: আগুন নিয়ে খেলা! 'ব্রহ্মাস্ত্র'-র নতুন গানে 'আলোর আভাস' দিলেন রণবীর-আলিয়া
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বিশুপাল বধ' অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ। কিন্তু সেই গল্প পরিপূর্ণ নয়। তাহলে? অরিন্দম বলছেন, 'গল্পের শেষ নেই বটে, কিন্তু এতদিন ধরে ব্যোমকেশ পরিচালনা করে করে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। গল্পটা পড়ে মনে হয়েছিল, শুরুতেই কে খুন করেছে সেটা লেখক বলে গিয়েছেন। একটা নামের মধ্যে লেখক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খুনটা কে করেছে। সেই সূত্র ধরেই কার্যত রহস্যভেদ করলাম আমি আর পদ্ম (পদ্মনাভ দাশগুপ্ত)।'
'ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ'-র সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে থিয়েটারের মঞ্চ। নিজে দীর্ঘদিন থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অরিন্দম। পরিচালক বলছেন, 'বিজন থিয়েটারে আমি ৪ বছর অভিনয় করেছি। আর এখন সেই বিজন থিয়েটারের অবস্থা দেখলে চোখে জল আসে। বাংলা থিয়েটারে ৭১ -এর টালমাটাল পরিস্থিতির প্রভাব, অর্থের জন্য ব্যবসাকে বেছে নেওয়া, সংস্কৃতির অবক্ষয় এইসব কিছু লেন্সবন্দি করা হয়নি। আমি গোয়েন্দা গল্পের মোড়কেও সেই সময়ের থিয়েটারকে কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।'
এই ছবিতে প্রথমবার ব্যোমকেশ পরিবারের সঙ্গে অভিনয় করছেন পাওলি। অরিন্দম বলছেন, 'পাওলির সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ছিল অনেকদিনের। কিন্তু কিছুতেই হয়ে উঠছিল না। পাওলি সুলোচনা চরিত্রটাকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। লেখা এই ছবির হাত ধরেই প্রথম পর্দায় পা রাখল। আরও একজনের কথা আলাদা করে বলতেই হবে, তিনি অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়। 'ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ' -র ক্যামেরার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এটা বাংলায় অনির্বাণের প্রথম কাজ হতে চলেছে যেটা মুক্তি পাবে। ছবির সুরের দায়িত্বে রয়েছেন বিক্রম ঘোষ। আমরা প্রতিটা চরিত্রের জন্য আলাদা আলাদা করে থিম তৈরি করেছি।'