কলকাতা: শ্যুটিংয়ের দেড় বছর পর অপেক্ষার অবসান। বড়পর্দায় ম্যাজিক দেখাতে তৈরি সাদা-কালো ছবি 'অভিযাত্রিক'। শুভ্রজিৎ মিত্র পরিচালিত এই ছবিতে অর্জুন চক্রবর্তী, সব্যসাচী চক্রবর্তী (Sabyasachi Chakraborty), দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy), অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় (Arpita Chatterjee), শ্রীলেখা মিত্রদের (Shreelekha Mitra) মতো পরিচিত মুখেরা এই ছবিতে ধরা দেবেন একেবারে অপরিচিত বেশে। 


এই ছবির প্রথম অফার এসেছিল তাঁর বাবার কাছে। প্রথমে জানতেনই না, 'অভিযাত্রিক'-এর প্রধান চরিত্র হতে চলেছেন তিনিই। 'অভিযাত্রিক'-এর অপুর চরিত্র তাঁর কাছে কেবল পছন্দের নয়, ভালোলাগার, ভালোবাসারও। পর্দায় নিজেকে অপুর চরিত্রে দেখতে কতটা মুখিয়ে রয়েছেন অর্জুন চক্রবর্তী? অভিনেতা বলছেন, 'করোনার জন্য দেড় বছর পিছিয়ে গিয়েছে অভিযাত্রিকের মুক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় টিজার বা ট্রেলারের প্রতিক্রিয়া ভালোই পেয়েছি। ইতিমধ্যে অনেক অ্যাওয়ার্ড শো-তেও ছবিটি দেখানো হয়েছে, পুরষ্কারও পেয়েছে। এখন অপেক্ষা কেবল সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়ার।'


'অভিযাত্রিক'-এর প্রেক্ষাপট সাদায় কালোয়। অর্জুন বলছেন, 'এই রঙিন যুগে একটা সাদা কালো ছবি মানুষের একঘেয়েমি ভেঙে দেবে বলেই আমার বিশ্বাস। অপরাজিত, অপুর সংসার, ছবির নস্ট্যালজিয়ার সঙ্গে সাঁকো তৈরি করবে এই সাদা-কালো প্রেক্ষাপটই। আমার ব্যক্তিগতভাবে সাদা কালো ছবি ভীষণ প্রিয়। ছবিটা তো ২০২১-এর নয়, তাই পিরিয়ড অনুযায়ী সাদা-কালো ছবি বেশ ভালো লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।'


কেবল অর্জুন নয়, এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে পর্দায় ভাগ করে নেবেন সব্যসাচী চক্রবর্তীও। বাবার সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? একটু হেসে অর্জুন বললেন, 'প্রৌঢ় শঙ্কর হিসেবে বাবাকে দারুণ মানিয়েছে। বাবার সঙ্গে কাজ করা সবসময় দারুণ অভিজ্ঞতা। ছবিটা সম্পূর্ণ তৈরি হওয়ার পর স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে সবার ছবিটা দেখে ভালো লেগেছে। আর শুধু বাবা নয়, ছোট্ট আয়ুষ্মান, যে আমার ছেলের ভূমিকাতেও অভিনয় করেছে, ওর সঙ্গে দারুণ বন্ডিং ছিল। পর্দার বাইরে খুনসুটি করতাম ওর সঙ্গে।'


বাঙালিদের 'অপু' বলতেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee)। ছবি দেখে মানুষ সৌমিত্রের সঙ্গে অর্জুনের তুলনা করবেন। ভয় হয়? অর্জুন বললেন, 'তুলনা বা সমালোচনার ভয় আমি পাই না। 'অভিযাত্রিক'-এ অভিনয় করে আমি শান্তি পেয়েছি। ছবিটা মানুষের ভালো লাগাটা আমার কাছে খুব জরুরি। তবে যদি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ের সঙ্গে তুলনা না করে যদি 'অভিযাত্রিক'-কে স্বতন্ত্র্য কাজ হিসেবে দেখা যায়, আশা করি মানুষের ভালো লাগবে।'