কলকাতা: তাঁর কখনও ফেলুদা বা ব্যোমকেশ হওয়ার ইচ্ছা হয়নি। অথচ তাঁর পরিবারের সঙ্গে ফেলুদা ও ব্যোমকেশের যোগ নিবিড়। বড়পর্দায় সেরা ফেলুদা বলতে তাঁর বাবার নাম অন্যতম। দাদা ছোটপর্দায় ব্যোমকেশের অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু তিনি কখনও ফেলুদা বা ব্যোমকেশ হতে চাননি। নিদেনপক্ষে তোপসেও না। তিনি চেয়েছিলেন নতুন কোনও চরিত্র, সম্পূর্ণ স্বতন্দ্র। আর তাই সোনাদার সঙ্গী হয়ে ওঠার সুযোগ, তাঁর গুপ্তধন আবিষ্কারের মতোই আনন্দের। ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় (Dhruba Banerjee) পরিচালিত নতুন ছবি 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন' (Karnasubarner Guptadhan) মুক্তির আগে এবিপি লাইভ (ABP Live)-এ খোলামেলা আড্ডায় পর্দার আবীরলাল ওরফে অর্জুন চক্রবর্তী (Arjun Chakraborty)।
সোনাদা এখন ফ্রাঞ্চাইজি। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অনুরাগী ও দর্শক রয়েছে এই চরিত্রদের। ছবি মুক্তির আগে এই অনুরাগীর সংখ্যাটাই কি কিছুটা স্বস্তি দেয়? অর্জুন বলছেন, 'ইতিমধ্যেই সোনাদা ফ্র্যাঞ্চাইজির বেশ কিছু অনুরাগী রয়েছেন একথা সত্যি। তাঁরা হয়তো প্রতিবারের মতো এবারেও হলে এসে সোনাদা দেখবেন। তবে অনেক নতুন মানুষও সিনেমাটা দেখতে আসতে পারেন। যাঁরা গত দুটো ছবি হলে গিয়ে দেখতে পারেননি, ওটিটিতে দেখেছেন, অথবা একেবারে নতুন দেখছেন সোনাদা, তাঁদের কাছেও যাতে আরও বেশি করে এই চরিত্রটা পৌঁছে যায় সেই চেষ্টা থাকবে সবসময়। তবে কোনও ফ্রাঞ্চাইজিতে অভিনয় করার একটা চাপও রয়েছে। সবসময় পুরনো ছবির সঙ্গে সেই ছবিটার তুলনা করা হয়। গত ছবির থেকে কতটা ভালো বা কতটা খারাপ করল, প্রতিবার তার তুল্যমূল্য বিচার করেন দর্শক। হয়তো প্রতিবার দর্শকদের আকাঙ্খা আরও বেড়ে যায় বলেই এই তুলনা। সব মিলিয়ে চাপ থাকেই।'
ইতিমধ্যেই পর্দায় বহু মানুষ ফেলুদা বা ব্যোমকেশের অভিনয় করে ফেলেছেন। সেই তুলনায় সোনাদা একেবারেই নতুন ফ্রাঞ্চাইজি। তাই কি নিজের মতো করে অভিনয় করার স্বাধীনতা পাওয়া যায়? অর্জুন বলছেন, 'আমি যখন 'অভিযাত্রিক'-এ অভিনয় করেছিলাম, তখন আমায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee) -এর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল। সেই সময়েও কিছু ভেবে অভিনয় করিনি। এখনও করি না। তবে কোনও চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে সবচেয়ে বেশি যেটা জরুরি সেটা হল পরিচালকের সমর্থন। ধ্রুবদা আমাদের যেমন অভিনয় করার স্বাধীনতা দেন, তেমনই কী চান সেটা খুব স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেন।'
পর্দার সোনাদার আসল নাম আবীর চট্টোপাধ্যায় আর বাস্তবের অর্জুনের পর্দার নাম আবির। শ্যুটিং সেটে সমস্যা হত? হাসতে হাসতে অর্জুনের উত্তর, 'ধরুন খুব গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যের শ্যুটিং চলছে। ধ্রুবদা হঠাৎ বলে উঠলেন, অর্জুনকে লাগবে। আমি আর আবিরদা কিছুতেই বুঝতে পারতাম না ঠিক কাকে প্রয়োজন।'