মুম্বই :জেলে কেটে গেল কয়েক রাত। সোমবারও জামিন পেলেন না শাহরুখ পুত্র। এক সপ্তাহ আগে মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হন আরিয়ান। এই নিয়ে তিনবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল।  আবার বুধবার এই মামলার শুনানি। 


শুক্রবার থেকে আর্থার রোড জেলে রয়েছেন আরিয়ান খান। শুক্রবার আরিয়ানের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। অ্যান্টি ড্রাগ এজেন্সি  আরিয়ানকে  শুক্রবার অবধি কাস্টডিতে রাখতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানায়। আদালত এনসিবিকে বুধবার সকাল অবধি সময় দিয়েছে। শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় আগামী বুধবার পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে আরিয়ান খানকে।


নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হেফাজত শেষের পরে, বৃহস্পতিবারই আরিয়ান-সহ ৮ অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠায় মুম্বইয়ের কিলা কোর্ট। শুক্রবার তাঁদের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানিতে আরিয়ান-সহ ৩ জনের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অনিল সিংহ। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন, আরিয়ান এবং মাদককাণ্ডে ধৃত অর্চিতের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনে ফুটবলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। NCB মনে করছে, ফুটবল শব্দের মাধ্যমে সাঙ্কেতিকভাবে বেশি পরিমাণ মাদকের কথা বলা হচ্ছে। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আরও দাবি করেন, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী। জামিন দেওয়া হলে প্রমাণ নষ্ট করার আশঙ্কাও রয়েছে। আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে এই যুক্তির বিরোধিতায় বলেন, তাঁর মক্কেল গত ৭ দিন ধরে হেফাজতে। আরিয়ানের ফোন থেকে যা যা নথি সংগ্রহ করার, তা করা হয়ে গেছে। 



এরপর অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন, NDPS আইন অনুযায়ী, এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে জামিন আর্জির শুনানি হতে পারে একমাত্র সেশনস কোর্টে। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে নয়। সওয়াল-জবাব শেষে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আর এম নারলিকার, আরিয়ান, আরবাজ আর মুনমুন ধামেচার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। শনি ও রবিবার আদালতে জামিনের আবেদন জানাতে পারেননি অভিযুক্তরা। তাই সপ্তাহান্তটা শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানকে থাকতে হয় আর্থার রোড জেলে। সোমবারও মেলেনি সুরাহা।