মাদককাণ্ডে জামিন পেলেন না শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান। আরিয়ান-সহ ৩ অভিযুক্তরই জামিনের আর্জি খারিজ করল আদালত। ফলে আপাতত আর্থার রোড জেলেই থাকতে হবে শাহরুখ-পুত্রকে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হেফাজত শেষের পরে, বৃহস্পতিবারই আরিয়ান-সহ ৮ অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠায় মুম্বইয়ের কিলা কোর্ট। শুক্রবার তাঁদের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানিতে 



আরিয়ান-সহ ৩ জনের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অনিল সিংহ। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন, আরিয়ান এবং মাদককাণ্ডে ধৃত অর্চিতের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনে ফুটবলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। NCB মনে করছে, ফুটবল শব্দের মাধ্যমে সাঙ্কেতিকভাবে বেশি পরিমাণ মাদকের কথা বলা হচ্ছে। 


অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আরও দাবি করেন, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী। জামিন দেওয়া হলে প্রমাণ নষ্ট করার আশঙ্কাও রয়েছে। আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে এই যুক্তির বিরোধিতায় বলেন,



তাঁর মক্কেল গত ৭ দিন ধরে হেফাজতে। আরিয়ানের ফোন থেকে যা যা নথি সংগ্রহ করার, তা করা হয়ে গেছে। এরপর অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন,NDPS আইন অনুযায়ী, এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে জামিন আর্জির শুনানি হতে পারে একমাত্র সেশনস কোর্টে। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে নয়।


সওয়াল-জবাব শেষে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আর এম নারলিকার, আরিয়ান, আরবাজ আর মুনমুন ধামেচার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। শনি ও রবিবার আদালতে জামিনের আবেদন জানাতে পারবেন না অভিযুক্তরা। তাই সপ্তাহান্তটা শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানকে থাকতে হবে আর্থার রোড জেলে।


অক্টোবর মুম্বইয়ে, কর্ডেলিয়া নামের বিলাসবহূল ক্রুজ শিপে রেভ পার্টি চলাকালীন অভিযান চালায় NCB। গ্রেফতার করা হয়, শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচা-সহ ৮ জনকে। উদ্ধার করা হয় কোকেন, চরস, MDMA-র মতো মাদক। 


মাদককাণ্ডে ধৃত শাহরুখপুত্র-সহ সেই ধৃত আটজনের NCB হেফাজতের মেয়াদের বৃহস্পতিবারই ছিল শেষ দিন। এদিন বিকেলে ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। শুনানির শুরুতে এদিন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অনিল সিংহ বলেন, মাদককাণ্ডে ধৃত আরিয়ান খান ও আরবাজ মার্চেন্টকে জেরা করে অর্চিত কুমার নামে আরেক অভিযুক্তের হদিশ মেলে।