নয়াদিল্লি: শাহরুখ খানকে বিশেষ উপদেশ দিলেন কেন্দ্রীয় সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রী রামদাস আঠওয়াল। তাঁর ছেলে আরিয়ান খানকে ড্রাগ ডিঅ্যাডিকশন সেন্টার বা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে পাঠানোর উপদেশ দিলেন মন্ত্রী।
জেলে থাকার বদলে তাঁর সেখানে ১-২ মাস থাকা প্রয়োজন। গোটা দেশে এমন অনেক সেন্টার রয়েছে। ১-২ মাসেই তিনি মাদক আসক্তি থেকে মুক্তি পাবেন,' এএনআই-কে'অল্প বয়সে মাদক সেবন করা উচিত নয়। আরিয়ান খানের সামনে তাঁর গোটা ভবিষ্যৎ পড়ে রয়েছে। আমি শাহরুখ খানকে উপদেশ দেব তিনি যেন আরিয়ান খানকে ডিঅ্যাডিকশন রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে পাঠান। এক সাক্ষাৎকারে জানান তিনি।
অন্যদিকে ফের বিতর্ক বাড়ল আরিখান খান মামলায়। শাহরুখ-পুত্রকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে ২৫ কোটি টাকা দাবি করেছেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসাররা (এনসিবি), এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ কিরণ গোসাভির দেহরক্ষী প্রভাকর সেইলের। তিনি এও বলেছেন এই টাকা না কি চেয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে নিজেই। যদিও এনসিবির তরফে এই অভিযোগকে 'ভুয়ো' হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া হয়।
এনসিবি ডেপুটি ডিরেক্টর-জেনারেল, দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল, মুথা অশোক জৈন বলেছেন যে ওয়াংখেড়ে অভিযোগগুলি "স্পষ্টভাবে অস্বীকার" করেছে। সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, "এনসিবি -র একটি অপরাধ মামলায় সাক্ষী প্রভাকর সেইলের হলফনামা আমার নজরে এসেছে। যেহেতু তিনি একজন সাক্ষী এবং বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন, তাই তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ার পরিবর্তে আদালতে তাঁর অনুরোধ জমা দিতে হবে। আমাদের জোনাল পরিচালক সমীর ওয়াংখেড়ে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।"
প্রভাকর সেইল একটি হলফনামার মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন যে একটি খালি কাগজে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তিনি তাঁর হলফনামার মাধ্যমে দাবি করেছেন যে এনসিবি যে রাতে ক্রুজে অভিযান চালায় সেই রাতে তিনি মূল সাক্ষী কেপি গোসাভির সঙ্গে ছিলেন। সেই নথিতেই তিনি এই আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান, মাদককাণ্ডে গোসাভির সঙ্গে ১৮ কোটির চুক্তি হয়েছিল শ্যাম ডি’সুজা নামে এক ব্যক্তির। তা থেকে ৮ কোটি টাকা এনসিবি-র জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েক দেওয়ার কথা ছিল।
১৮ কোটি টাকার কথা হওয়ার পর, শাহরুখ খানের সচিব পূজা দদলানির সঙ্গেও মিটিং করেন শ্যাম ও গোসাভি। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, এনসিবি অফিসে তাঁকে দিয়ে সিজার লিস্টের বদলে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। যদিও NCB-র তরফ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, প্রভাকরের তোলা সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন তাদের জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে।