কলকাতা: অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যের (Anirban Bhattacharyya) সঙ্গে বহুদিনের সম্পর্ক, থিয়েটারে কাজও করেছেন একসঙ্গে। আর তাঁর হাত ধরেই প্রথম পর্দার কাজে পা রাখা। 'মন্দার' থেকে শুরু করে 'বল্লভপুরের রূপকথা' নতুন পরিচালকের সফরসঙ্গী তিনি। ছবির সাফল্যের ৭৫ দিনে তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নিলেন অভিনেতা সুমন্ত রায় (Sumanta Roy)।                   


'বল্লভপুরের রূপকথা'-য় তুলনামূলক ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন্ত। ছবির অফার আসা থেকে শুরু করে বল্লভপুরের রূপকথার সফর, কেমন ছিল সুমন্তর কাছে? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা বললেন, 'অনির্বাণের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের আলাপ। একসঙ্গে থিয়েটারে কাজও করেছি। বল্লভপুরের রূপকথার ৭৫তম দিনে দাঁড়িয়ে ভীষণ ভাল লাগছে। অভিনেতা হিসেবে দর্শকদের ভালবাসা পাচ্ছি। অনির্বাণ এই চরিত্রটার জন্য আমায় ডেকেছে এটা বিশাল পাওনা আমার কাছে। অনির্বাণ ভাল অভিনেতা তো বটেই, তবে একজন অভিনেতাকে ও খুব ভাল পথপ্রদর্শন করতে পারে। সেটা আমার ভীষণ কাজে লেগেছে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে যেমন ওঁর নির্দেশ মেনেছি, তেমনই নিজের যা যা মনে হয়েছে ওকে বলেছি। অভিনেতাকে অনির্বাণ ব্যক্তিগত জায়গা দিতে জানে।'


আরও পড়ুন: Aindrila Sharma: প্রায় ৩ মাস পরে হঠাৎ সক্রিয় ঐন্দ্রিলার ফেসবুক প্রোফাইল, পোস্ট করা হল অদেখা ভিডিও


সুমন্তর চোখে পরিচালক অনির্বাণের বিশেষত্ব কী? অভিনেতা বলছেন, 'অনির্বাণ ভীষণ প্রস্তুতি নিয়ে কাজে নামে। সমস্ত দিকে নজর থাকে ওঁর। কোন চরিত্র কেমন হবে, সবটা ওঁর মাথার মধ্যে ছবির মতো পরিষ্কার থাকে। আমি হয়তো ২টো আংটি পরে শ্যুট করছি, কখনও যদি একটা আংটি পরতে ভুলে যাই, সেটাও ওর চোখ এড়ায় না। পরিচালকের সবটা দেখতে পাওয়া জরুরি। বৃষ্টির জন্য শ্যুটিং ভেস্তে গিয়েছিল.. কিন্তু কেবলমাত্র অনির্বাণের প্রস্তুতির জন্যই সময়ে কাজ শেষ হয়ে যায়।'                                               


অনির্বাণের চরিত্রাণের ধারা কী ওঁকে অন্য পরিচালকদের থেকে আলাদা করে বলে মনে হয় সুমন্তর? অভিনেতা বললেন, '১০০ শতাংশ। বললাম না, ও চরিত্রগুলোকে দেখতে পায়। সেই অনুযায়ীই ও অভিনেতা অভিনেত্রীদের বাছাই করে। ছবির কাস্টিং যদি সঠিক হয়, তাহলে বোধহয় অর্ধেক কাজ হয়েই যায়। অনির্বাণ দুর্দান্ত কাস্টিং করে।'