ঢাকা থেকে ফোনে এবিপি আনন্দকে শান্তা জানালেন, ‘আমি ১৭ বছর বয়স থেকে মডেলিং শুরু করি। র্যাম্পে হাঁটার পাশাপাশি একাধিক বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করেছি। বাংলাদেশে একটি বিউটি কনটেস্ট জেতার পর দেশের বাইরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় যোগ দিই। গত বছর মিস এশিয়া গ্লোবালে আমি চতুর্থ হই। মিস বিউটিফুল আইজ খেতাব পাই। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার সুবাদেই তেলুগু ছবির পরিচালক ও প্রযোজকদের নজরে পড়ে যাই। তাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যে ছবিতে আমি কাজ করব, সেটির নাম ইয়ে রা লা ভা। পরিচালক বিশ্বনাথ রাও। এই ছবিতে আমি নায়িকা। এটি একটি সাসপেন্স ও থ্রিলার ছবি। আমার চরিত্রের নাম অনন্যা। খলনায়ক হিসেবে বলিউডের সিনিয়র কাউকে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে আমাকে।’
শান্তার জন্ম, পড়াশোনা ঢাকায়। বাঙালি মেয়ে হয়ে তেলুগু ছবিতে প্রথমবার অভিনয় করতে গিয়ে ভাষা, সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে না? এ বিষয়ে শান্তার জবাব, ‘শুরুতে তেলুগু ভাষা নিয়ে আমার সমস্যা ছিল। কারণ, আমি বাঙালি। বাংলা ছাড়া ইংরাজি, হিন্দি জানি। কিন্তু তেলুগু ভাষা একেবারেই জানি না। ফলে শুরুতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে আমি মানিয়ে নিচ্ছি। ওয়ার্কশপ করার পর এখন আর বিশেষ কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আমি নিজেই ডাবিং করব। লকডাউন শেষ হলেই শ্যুটিং শুরু হবে।’
আন্তর্জাতিক প্রযোজনার বাংলা ছবিটির বিষয়ে শান্তা জানালেন, ‘এন কে মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে ছবিটি হবে। এটি অ্যাকশন, রোম্যান্টিক ও কমেডি ছবি। নায়িকা আমি, নায়ক অঙ্কুশ। বাংলাদেশ ও ভারত, দু’দেশেই শ্যুটিং হবে। গানের দৃশ্যের শ্যুটিং হবে মানালিতে। ছবিটিতে একটি আইটেম সং থাকবে, যেটি গাইবেন নেহা কক্কর। বাংলাদেশ ও ভারতের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এই ছবিতে কাজ করবেন। পরিচালক এখনও ঠিক হয়নি। বাংলাদেশ বা ভারতের সিনিয়র কোনও পরিচালককেই নেওয়া হবে।’
শান্তা জানিয়েছেন, আরও কয়েকটি বাংলা ছবিতে কাজ করতে পারেন তিনি। সে বিষয়ে কথা চলছে। কলকাতায় এসে তিনি বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন। এছাড়া ‘ফেস অফ ইন্ডিয়া ২০২০’-এর বিচারক এবং নতুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সিল্কের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হচ্ছেন তিনি।