মুম্বই : সুরালোকে বলিউডের 'ডিস্কো কিং' (Disco King)। বিভিন্ন মহল থেকে একের পর এক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বের শোকবার্তা। বলিউডের 'রকস্টার'-এর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani)। 


ট্যুইটারে সঙ্গীতশিল্পীর গানের লাইন তুলে ধুরে শিল্পপতি লিখলেন, "চলতে চলতে...মেরে ইয়ে গীত ইয়াদ রাখনা...কভি আলবিদা না কহেনা...রোতে হাসতে বস ইঁয়ুহি তুম...গুনগুনাতে রহেনা... কভি আলবিদা না কহেনা...


বাপিদা, অলকেশদা, তুমি আর তোমার গানের স্মৃতি সারাজীবন আমাদের সঙ্গে থাকবে। তুমি তোমার নিজের মতো করে গোটা জীবনটা কাটিয়েছ। ওঁ শান্তি। কভি আলবিদা না কহেনা...। "



লতা মঙ্গেশকর ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পর বাপি লাহিড়ির প্রয়াণে দেশজুড়ে শোকের ছায়া। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, "বাপি লাহিড়ি এক মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং সোমবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং তাঁর পরিবার ডাক্তার ডাকে। তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল। মধ্যরাতের কিছু আগে ওএসএ (অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া) র কারণে তাঁর মৃত্যু হয়' ।


১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু জনেই ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী। ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’ জনেই ছিলেন গানের জগতের মানুষ। কিশোর কুমারের আত্মীয় বাপি ছোট থেকে বড় হয়েছেন সাঙ্গীতিক পরিবেশে। ৩ বছর বয়সে তবলা বাজানো দিয়ে শুরু।


১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপি লাহিড়ি। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’-তে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাগি থ্রি’-র জন্য। গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপি লাহিড়ি। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।