মুম্বই : বাপি লাহিড়ির (Bappi Lahiri) প্রয়াণে শোকার্ত আত্মীয়-পরিজনরা। শোকপ্রকাশ করলেন জামাই গোবিন্দ বনসাল (Gobind Bansal) ও নাতি। "আমাদের কাছে এটা খুবই দুঃখের দিন। গোটা দেশকে আনন্দ দিয়ে গেছেন দাদা এবং প্রত্যেকে তাঁকে ভালবাসতেন।" প্রতিক্রিয়া জামাইয়ের (Son in Law) ।
কীভাবে এই কঠিন মুহূর্ত নেমে এল লাহিড়ি পরিবারে ? সেকথা বলতে গিয়ে গোবিন্দ বনসল বললেন, তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন উনি। কিন্তু, ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তাই বাড়ি ফিরে আসেন। গত রাতে খাবারও খান, সাড়ে ৮টা-৯টা নাগাদ। কিন্তু, ডিনারের আধ ঘণ্টার মধ্যেই, তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়। পালস রেটও কমতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ১১টা ৪৪ মিনিট নাগাদ চিকিৎসক জানান, বেঁচে নেই বাপি লাহিড়ি।
ছেলে বাপ্পা লাহিড়ি লস অ্যা়ঞ্জেলস থেকে ফেরার পর বৃহস্পতিবার সকালে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী-সুরকারের। বনসাল জানান, আগামীকাল বেলা ১০টায় পবন হংস শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
দাদুর মৃত্যুর কথা বলতে বলতে ভেঙে পড়ল বাপি লাহিড়ির নাতি স্বস্তিক বনসালও। বলে, উনি আমার আদর্শ। দাদুই আমার সঙ্গীত কেরিয়ার শুরু করেছেন। তাঁর জন্যই আজ আমি একজন গায়ক। খুব ভালবাসি ওঁকে, সবসময় ভালবাসব। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে, দাদু নেই।
গতকাল রাত পৌনে ১২টা নাগাদ জুহুর হাসপাতালে জীবনাবসান হয় শিল্পীর। গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপি লাহিড়ি। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। গত একমাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সোমবার ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ছেলে বাপ্পা আমেরিকা থেকে ফেরার পর, আগামীকাল মুম্বইয়ের পবনহংস শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।