মুম্বই: মানতে পারছেন না অনুরাগীরা। কিন্তু কঠিন বাস্তব এটাই। ইহজগতের মায়া ত্যাগ করে পরলোকগমন করেছেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী বাপি লাহিড়ি (Bappi Lahiri)। প্রায় একটা মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি ছিল গত একমাস। চলছিল চিকিতসা। সোমবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবারই আচমকা তাঁর শারীরিক অবনতি হয়। আর মঙ্গলবারই গভীর রাতে প্রয়াত হন বাপি লাহিড়ি। প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর জন্য শোকবার্তায় ভরে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। সাধারণ নেট নাগরিক থেকে তারকাদের মন খারাপ। তাঁরা প্রিয় বাপি দা-কে মিস করছেন খুব। 


প্রিয় দাদুকে মিস করছেন নাতি স্বস্তিক বনশল। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে বাপি লাহিড়ির সঙ্গে পুরনো ছবি পোস্ট করে মনের ভাব প্রকাশ করেছে সে। এদিন নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে বাপি লাহিড়ির একটি ছবি পোস্ট করেছে সে। সঙ্গে লিখেছে, 'মিস ইউ সো মাচ দাদু। রেস্ট ইন পিস। লভ ইউ। (দাদু তোমাকে খুব মিস করছি। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি। খুব ভালোবাসি তোমায়।)'




আরও পড়ুন - Sandhya Mukhopadhyay Demise: বাংলা ছবির নাইটিঙ্গল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়: অভিজিৎ ভট্টাচার্য


১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু জনেই ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী। ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’ জনেই ছিলেন গানের জগতের মানুষ। কিশোর কুমারের আত্মীয় বাপি ছোট থেকে বড় হয়েছেন সাঙ্গীতিক পরিবেশে। ৩ বছর বয়সে তবলা বাজানো দিয়ে শুরু। ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপি লাহিড়ি। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’-তে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাগি থ্রি’-র জন্য। গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপি লাহিড়ি। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন ভারতীয় সঙ্গীতের ডিস্কো কিং। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘ডান্স ডান্স’, ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, ‘সত্যমেব জয়তে’, ‘কম্যান্ডো’, ‘শোলা অউর শবনম’-এর মতো ছবিতে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাগি থ্রি’-র জন্য। বাংলায় ‘অমর সঙ্গী’, ‘আশা ও ভালবাসা’, ‘আমার তুমি’, ‘অমর প্রেম’-সহ একাধিক ছবিতে সুর দিয়েছেন।