কলকাতা: ‘জেমস বন্ড বলতে কার মুখ মনে পড়ে বলুন প্রথম? শন কনারি নিশ্চয়ই। তেমনই ফেলুদা মানেই আমার কাছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।’

বললেন ‘ফেলুদা ফেরত’-এর ফেলুদা, সব থেকে নতুন ‘ফেলু মিত্তির’ টোটা রায়চৌধুরি। ছোটবেলায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে চিনতেন শুধু ফেলুদা বলেই।

‘মনে পড়ছে, স্বপন সাহার একটা ছবির শ‍্যুটিংয়ের কথা। আমাকে সৌমিত্রবাবুর সঙ্গে রুম শেয়ার করতে বলা হয়। আমি তো তখন নতুন। এককোণে সিঁটিয়ে বসে আছি। একটা বই নিয়ে। নিজেই এসে বললেন, কী বই পড়ছ? কী গল্প? সেই শুরু। আমিও হকি খেলতাম। উনিও খেলেছেন সেকেন্ড ডিভিশন। তাই কথা হত অনেক’, বলছিলেন টোটা।

দুই ফেলুদার তখন থেকেই এত সখ্য হয়ে গিয়েছিল, পরবর্তী কোথাও একসঙ্গে কাজ করলে সৌমিত্রবাবু টোটার সঙ্গেই থাকতে চাইতেন। ‘বলতেন, আমি পুষ্পরাগের সঙ্গেই থাকব। ইন্ডাস্ট্রিতে একমাত্র উনিই আমায় ভাল নামে ডাকতেন।’ স্মৃতি আঁকলেন টোটা।

একে একে অনেক কথাই মনে পড়ে যাচ্ছিল নতুন ফেলুদার। বললেন, ‘সুমন ঘোষের পদক্ষেপ ছবির শ‍্যুটিং হচ্ছিল। সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে গিয়ে হঠাৎ ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’-র গল্পে ডুব দিলেন অভিনেতা। বাকিরাও মন্ত্রমুগ্ধ।’ আবারও নস্টালজিক টোটা।

বললেন, ‘আমি ফেলুদা চরিত্রটি করছি ঠিক কথা,  কিন্তু কিন্তু নিজে ভীষণ সচেতন থাকি, পাছে কোথাও আমি আমার আইডলের ম‍্যানারিজম না ফলো করে ফেলি। সেখানে কোনো ত্রুটি বাঙালি ক্ষমা করবে না।’

‘তবে সবশেষে এটাই বলার, উনি কোনিকে ফাইট করতে বলেছিলেন। নিজে দেখালেন, মৃত্যুর সঙ্গে ফাইট করতে হয়। বলে গেলেন , ফাইট বাঙালি ফাইট।’