এবিপি আনন্দকে কোয়েল জানালেন, প্রথমে জ্বর, সর্দি-কাশি হয়েছিল অভিনেত্রীর বাবা-মায়েরই। অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, স্ত্রী দীপা মল্লিক দুজনেই সামান্য জ্বর সারাতে খাচ্ছিলেন প্যারাসিটামল। তারপর কোয়েলের স্বামী প্রযোজক নিসপাল সিংহেরও জ্বর আসে। মুখের স্বাদ কমতে থাকে। গন্ধ পেতেও সমস্যা হয়। তখনই কোভিড-টেস্ট করান গোটা পরিবার। তাতেই জানা যায় তাঁরা করোনা পজিটিভ।
নিসপাল বলেন, ‘আমার হালকা জ্বর ছিল, তাই টেস্ট করাই। টেস্টে পজিটিভ আসে। তবে তার আগে শহরের বাইরে কোথাও যাইনি।’
'হঠাৎই যেন অন্যরকম হয়ে গেল সবকিছু। তবে কারওরই যেহেতু বড়াবাড়ি হয়নি, তাই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার পড়েনি। বাড়িতে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছিলেন। অক্সিমিটারে রোজ মাপছিলেন অক্সিজেন লেভেল,' বলছিলেন কোয়েল।
সুস্থ কোয়েল-রানের ছেলে। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে বাচ্চাকে সঙ্গেই রাখতে পেরেছিলেন কোয়েল। ৩ মাসের একরত্তি ছেলে ছিল মায়ের কাছেই। দিন-রাত তাঁকে সামলে ছেন কোয়েল নিজেই।
'করোনা আক্রান্ত হলেও আমার কোনও উপসর্গ ছিল না। তাই চিকিৎসকরা বাচ্চাকে সঙ্গে রাখতেই বলেছিলেন। ওইটুকু শিশু কীকরেই বা মাকে ছেড়ে থাকবে বলুন তো?' নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর এবিপি আনন্দকে বলছিলেন কোয়েল। করোনাকালে এতকিছু নেতিবাচকের মধ্যে সন্তানের সঙ্গে সুদীর্ঘ সময় কাটানোটাই দারুণ প্রাপ্তি, বললেন অভিনেত্রী।
সতর্ক থাকুন, তবে আতঙ্কিত হবেন না, সকলকে বার্তা করোনাজয়ী কোয়েলের।