আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিচালক বুদ্ধদেব বলেছেন, ‘পহলাজ নিহালনি সেন্সর বোর্ডকে তাঁর নিজের দফতর বানিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি ভুলে গিয়েছিলেন, ছবির প্রতিটি ফ্রেম এডিট করা সেন্সর বোর্ডের প্রাথমিক কাজ নয়। বরং ছবির শিল্পকর্মের প্রতি দায়িত্ববোধ দেখানোই সেন্সর বোর্ডের কাজ। নিহালনি প্রথম দিন থেকেই সমস্যা শুরু করেছিলেন। তিনি চিত্র পরিচালক সহ ছবির সঙ্গে যুক্ত সবাইকে তাঁর রাজনৈতিক মতামত মেনে নিতে বাধ্য করছিলেন। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া ভাল সিদ্ধান্ত। জোশী নিশ্চিতভাবেই তাঁর প্রগতিশীল মানসিকতার মাধ্যমে সেন্সর বোর্ডে ইতিবাচক বদল আনবেন। সাম্প্রতিক সময়ে সেন্সর বোর্ড যেভাবে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছে, সেটা আর হবে না।’
বাংলার আরও এক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিচলাক গৌতম বলেছেন, ‘চিত্র পরিচালক হিসেবে আমি প্রথমেই চাই শ্যাম বেনেগাল কমিটির রিপোর্ট কার্যকর হোক। আমিও সেই কমিটির একজন সদস্য ছিলাম। সুপারিশগুলি লেখার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে পরিশ্রম করতে হয়েছে। বর্তমান আইনে বদল আনার জন্য নির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ করেছিলাম আমরা। কিন্তু সেগুলি কার্যকর হয়নি।’
অমর্ত্য সেনকে নিয়ে তথ্যচিত্র ‘দ্য আরগুমেন্টেটিভ ইন্ডিয়ান’ তৈরি করেছিলেন সুমন। কিন্তু ‘গরু,’ ‘গুজরাত’, ‘হিন্দু’, ‘হিন্দুত্ব’ এই চারটি শব্দ নিয়ে আপত্তি জানান নিহালনি। পরিচালক আপসে রাজি না হওয়ায় তথ্যচিত্রটি সেন্সর বোর্ডের শংসাপত্র পায়নি। স্বভাবতই নিহালনির অপসারণে খুশি সুমন। তাঁর আশা, জোশী সেন্সর বোর্ডের প্রধান হওয়ায় চলচ্চিত্র পরিচালকদের সমস্যায় পড়তে হবে না।