কলকাতা: নতুন পরিচালকের হাত ধরে ফের বড়পর্দায় ঋষভ বসু (Rishav Basu), অনিন্দ্য সেনগুপ্ত (Anindya Sengupta), ও রাজনন্দিনী পাল (Rajnandini Paul)। সুব্রত ঘোষের পরিচালনায় আসছে নতুন ছবি 'তাহাদের কথা' (Tahader Kotha)। যাঁরা সমাজে খুব একটা পরিচিত নয়, যাঁদের কথা কেউ শুনতে চায় না, তাঁদের গল্প নিয়েই তৈরি হচ্ছে এই ছবি। 


ইতিমধ্যেই ছবির লুক সেট হয়ে গিয়েছে। এই ছবির হাত ধরে বড়পর্দায় পা রাখছেন অভিনেত্রী তৃষা দাস। এছাড়াও রয়েছেন, দীপক হালদার (Deepak Halder), অমিত সাহা (Amit Saha), অরিন্দল বাগচি (Arindol Bagchi), ভদ্র বসু (Bhadra Basu), বিশ্বনাথ বসু (Biswanath Basu), কৃষ্ণেন্দু দেওয়ানজি (Krishnendu Dewanji) ও অন্যান্যরা। 


এই ছবিতে ঋষভের চরিত্রের নাম রফিকুল। অনলের চরিত্রে রয়েছেন অনিন্দ্য আর শ্রীনাথের ভূমিকায় দেখা যাবে কৃষ্ণেন্দুকে। তৃষার নম হয়েছে প্রিয়ঙ্কা, রাজনন্দিনীকে দেখা যাবে সুস্মিতার চরিত্রে। একজন নকশাল আন্দোলনের কর্মী হিসেবে দেখা যাবে ঋষভকে আর একজন বার ডান্সার হিসেবে দেখা যাবে নবাগতা তৃষাকে। তাঁদের প্রেমের গল্প নিয়েই এগিয়ে যাবে এই ছবি। 


অন্যদিকে, রাজনন্দিনীর সঙ্গে বড়পর্দায় প্রথমবার জুটি বাঁধছেন অনিন্দ্য। এই ছবিতে রাজনন্দিনীর চরিত্রের নাম সুস্মিতা। তাঁর স্বপ্ন একজন অভিনেত্রী হওয়ার। তাঁর ইচ্ছে এমন একটা চরিত্রে অভিনয় করার, যার জন্য চিরকাল সবাই তাকে মনে রাখবে। অন্যদিকে, অনিন্দ্যর চরিত্রের নাম অনল। সে একটি কর্পোরেট অফিসে চাকরি করে। সুস্মিতাকে ভালবাসে অনল। তাঁদের প্রেমের গল্প কী পরিণতি পাবে? উত্তর মিলবে গল্পে। 


'তাহাদের কথা' এমন সব সাধারণ মানুষদের কথা বলবে, যাঁরা তাঁদের নিজেদের জীবনে অনন্য। সবার মধ্যে থেকেও যেন তাঁরা আলাদা। সেই গল্পই বলবে এই ছবি। 


অন্যদিকে, একাধিক ছবি ও ওয়েব সিরিজে দেখা যাচ্ছে রাজনন্দিনীকে। সদ্য, নতুন ছবিতে দেখা যাবে রাজনন্দিনীকে। হরনাথ চক্রবর্তীর (Haranath Chakraborty)-র নতুন ছবিতে নতুন নায়কের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন তিনি। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে এই ছবির সব চরিত্রদের লুক। মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে দেবযানী চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে ঋক চট্টোপাধ্যায়কে। এই ছবির হাত ধরেই বড়পর্দায় পা রাখছেন তিনি। এছাড়াও এই ছবিতে থাকছেন, রাজনন্দিনী পাল (Rajnandini Pal), খরাজ মুখোপাধ্যায় (Khoraj Mukherjee), লাবণী সরকার (Laboni Sarkar), দ্রোণ মুখোপাধ্যায় (Dron Mukherjee), কৌশিক ভট্টাচার্য (Kaushik Bhattacharyya), তপতি মুন্সী (Tapati Munshi), বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya), মৃন্ময় দাস (Mrinmay Das) ও অন্যান্যরা।  ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শুভঙ্কর-শুভম জুটি ও আবহসঙ্গীত নির্মাণ করেছেন এস. পি. ভেঙ্কটেশ।


এই ছবির গল্প সায়ন্তন ওরফে সন্তুকে ঘিরে। তার বাবা রমণীকান্তের  ধানের ব্যবসা। প্রতিষ্ঠিত চাল মিলের মালিক সুবিমলবাবুর কারখানায় ধান যোগান দেওয়া তার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা। আর সেই ব্যবসায় তাঁর প্রতিন্ধন্দ্বীও রয়েছে। আর গ্রামের সেই প্রভাবশালী চাষীর ছেলে সন্তু বাবার ব্যবসার বাইরে গিয়ে কিছু করার আশায় বাড়ির অমতে চলে যায় কলকাতায়। আর সেখানেই, চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে দেখা হয়ে যায় নিধির সঙ্গে। আর তারপরেই প্রেম। নিধির কেউ ছিল না। তাঁরই প্রেমে পড়ে সন্তু। সেই সম্পর্ক এতটাই গভীর যে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্তও নেয়। কিন্তু নিধি জানায়, সন্তুর বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে বিয়ে করবে না সে। কিন্তু সেই শর্ত সফল হয় না। বিয়ে ভেঙে যায় রেজিস্ট্রির দিনেই। ইতিমধ্যেই গ্রাম থেকে খবর আসে, সন্তুর মেয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে। তাঁর নাম অন্তরা। তারপরে?  সন্তু আর নিধির সম্পর্ক কী পরিণতি পাবে নাকি ভেঙে যাবে?  সেই উত্তর মিলবে ছবির গল্পেই।