সেদিনের সদ্য তরুণী এখন ৪৮। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে তাঁর বন্ধুত্ব ছিল হিমালয় দাসানির সঙ্গে। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। কিন্তু তাঁর রক্ষণশীল বাবা মায়ের এই সম্পর্ক পছন্দ ছিল না। হিমালয় পড়াশোনা করতে আমেরিকা চলে যান, পরিবারের চাপে তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদে বাধ্য হন ভাগ্যশ্রী। তখনই তিনি সই করেন ম্যায়নে পেয়ার কিয়ায়।
দুজনে দুই দেশে থাকলেও মানসিকভাবে তাঁদের বিচ্ছেদ কখনও হয়নি। তাই ছবি করার আগে ভাগ্যশ্রী হিমালয়ের বাবা মায়ের অনুমতি নিয়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, হিমালয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ইতি ঘটবে না। হিমালয়ের বাবা মা বলেন, ভাগ্যশ্রী ছবি করলে তাঁদের আপত্তি নেই। তারপর শ্যুটিং শুরু করেন তিনি।
পড়াশোনা শেষ করে হিমালয় যখন দেশে ফেরেন, তখনও ম্যায়নে পেয়ার কিয়ার শ্যুটিং চলছে। কিন্তু তাঁর বাবা মা তখনও রাজি নন এই সম্পর্ক মেনে নিতে। তখন ভাগ্যশ্রী হিমালয়কে ফোন করে বলেন, তুমি কি এই সম্পর্ক নিয়ে নিশ্চিত? আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে.. হয় আমি তোমার জীবনে সারা জীবনের জন্য থাকব, নয়তো থাকবই না। তিনি বলেন, আমি এখনই বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি, যদি আমাকে ভালবাস, এসে নিয়ে যাও।
গ্রিসে, স্বামীর সঙ্গে ভাগ্যশ্রী
১৫ মিনিটের মধ্যে তাঁর বাড়ির নীচে এসে দাঁড়ান হিমালয়। তারপর মন্দিরে বিয়ে করেন তাঁরা। তাতে ছিলেন ছবির পরিচালক সুরজ বরজাতিয়া, সলমন খান সহ আরও কয়েকজন।
কিছুদিন পর মুক্তি পায় ম্যায়নে পেয়ার কিয়া। বাকিটা ইতিহাস।
বিয়ের ১ বছর পরেই জন্মায় তাঁদের প্রথম সন্তান অভিমন্যু। স্বামী ও ছেলের ভালবাসায় মগ্ন ভাগ্যশ্রী আর সিনেমার অফার নিতে পারেননি। সে জন্য তাঁর মনে কোনও দুঃখ নেই। বরং এখন অনেক কাজ নিয়ে তিনি দিব্যি ভাল আছেন। ফিটনেস, নিউট্রিশন, বেড়ানো- তাঁর বহু ব্যস্ততা। সঙ্গে সিনেমার অফার এলেও ভেবে দেখবেন। লিখেছেন ‘সুমন’, ম্যায়নে পেয়ার কিয়ায় গোটা দেশের মন জিতে নেওয়া অভিনেত্রী।