মুম্বই:  চলচ্চিত্র পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরকে খুনের চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগে মুম্বইয়ের এক নিম্ন আদালত অভিনেত্রী প্রীতি জৈনকে গত ২৮ এপ্রিল তিন বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।


প্রীতি সহ আরও দুজনকে মধুর ভাণ্ডারকরকে হত্যার চক্রান্তের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদালত। আবার সেদিনই প্রীতির জামিনের আবেদন ২৫ মে পর্যন্ত মঞ্জুর করে নিম্ন আদালত।

এরপরই নিজের জামিনের আবেদনের মেয়াদ বৃদ্ধির আর্জি জানিয়ে এবং নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন প্রীতি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই আজ বম্বে হাইকোর্ট প্রীতির জামিনের আবেদনের মেয়াদ বৃদ্ধি করল। এছাড়া নিম্ন আদালতের দেওয়া কারাদণ্ডের নির্দেশকে ফের খতিয়ে দেখার যে আবেদন প্রীতি করেছিল সেটাও মঞ্জুর হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের জুলাইয়ে প্রীতি পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তাঁর অভিযোগ ছিল ১৯৯৯ সাল থেকে ছবিতে সুযোগ দেওয়ার নাম করে পরিচালক তাঁকে ধর্ষণ করছেন। এরপর সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্ট মধুর ভাণ্ডারকরের ওপর থেকে ধর্ষণের সমস্ত অভিযোগ তুলে নেয়।

এদিকে ২০০৫ সালে প্রীতিকে মধুর ভাণ্ডারকরকে হত্যার চক্রান্তে অভিযুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রীতি সহ আরও দুজন।