কলকাতা: পল্লবী দে-র (Pallabi Dey) পরে এবার আরেক অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু। দমদমের নাগেরবাজারে বিদিশা দে মজুমদারের রহস্যমৃত্যু। নাগেরবাজারে ঝুলন্ত অবস্থায় ফ্ল্যাট থেকে বিদিশার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আত্মহত্যা নাকি এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে তা তদন্তে নাগেরবাজার থানার পুলিশ।


পল্লবীর মৃত্যুর পরেই ছবি শেয়ার করে পোস্ট করেন বিদিশা। 'মেনে নিতে পারলাম না' বলে ফেসবুক পোস্টও করেন বিদিশা। আর এর ১০ দিনের মধ্যেই ফ্ল্যাট থেকে বিদিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যেই বিদিশার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। রিপোর্ট এলে পরবর্তী তদন্ত শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই অভিনেত্রীর বাড়ি নৈহাটিতে বলে জানা গিয়েছে। 


আরও পড়ুন: Sonu Sood: ১ পায়ে ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যায় খুদে, ভিডিও শেয়ার করে 'কুর্ণিশ' সোনু সুদের


এখন থিতোয়নি পল্লবীর রহস্য়মৃত্যুর স্মৃতি। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে একের পর এক তথ্য উঠে এসেছে। পল্লবীর পরিবারের অভিযোগ, ' পল্লবী সিলিং থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছিলেন, কিন্তু সেই ঘরে সিলিং অবধি পৌঁছনোর মতো কোনও চেয়ার, টেবিল বা অন্যান্য সামগ্রী ছিল না। তবে নিজের গলায় নিজে ফাঁস দেওয়ার জন্য কি করে সিলিং অবধি পৌঁছলেন পল্লবী? তাঁকে মৃত্যুর পরে প্রথম দেখে তাঁর লিভ ইন পার্টনারই। মৃতদেহ নামানোর পর পল্লবীরই ফোন থেকে তাঁর মা-কে ফোন করেন সাগ্নিক। সেই ফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, পল্লবী অচৈতন্য হয়ে গিয়েছে।'


পল্লবীর পরিবারের আইনজীবী বলছেন, 'পল্লবী সিলিং থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছিলেন, কিন্তু সেই ঘরে সিলিং অবধি পৌঁছনোর মতো কোনও চেয়ার, টেবিল বা অন্যান্য সামগ্রী ছিল না। তবে নিজের গলায় নিজে ফাঁস দেওয়ার জন্য কি করে সিলিং অবধি পৌঁছলেন পল্লবী? তাঁকে মৃত্যুর পরে প্রথম দেখে সাগ্নিক। মৃতদেহ নামানোর পর পল্লবীরই ফোন থেকে তাঁর মা-কে ফোন করেন সাগ্নিক। সেই ফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, পল্লবী অচৈতন্য হয়ে গিয়েছে ও তাঁর কোলে শুয়ে আছে। এই মিথ্যাচার কেন? কিছু আর্থিক প্রতারণার খোঁজও পাওয়া গিয়েছে। আর সাগ্নিকের একটি অন্য সম্পর্কও তৈরি হয়েছিল। পল্লবীর অনুপস্থিতিতে সে পল্লবীরই ফ্ল্যাটে আসত।'