কলকাতা: সাদা-কালো থেকে রঙিন, মঞ্চ থেকে শুরু করে একেবারে বাড়ির ভিতর, ব্যক্তিগত সময় কাটানো.. কোনোকিছু থেকেই বোধহয় এই শব্দটা আলাদা করা যায় না কখনও। বাবা। তারকা হোক বা সাধারণ মানুষ.. বাবা শব্দটার সঙ্গে যেন মিশে থাকে অনেক আবেগ। আজ.. টলিউডের এক তারকার বাবার জন্মদিন। সেই বাবা নিজেও রূপোলি পর্দার স্বর্ণযুগের তারকা। আর সেই বাবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে স্মৃতি হাতড়ে যেন শৈশবে ফিরে গেলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। আজ, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Biswajit Chatterjee)-র জন্মদিন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ ছবির কোলাজ শেয়ার করে নিয়েছেন প্রসেনজিৎ। সেখানে কখনও দেখা যাচ্ছে ছোট্ট 'বুম্বা' কে সাইকেল চালানো শেখাচ্ছেন বিশ্বজিৎ, কখনও আবার মঞ্চে, মাইক হাতে বাবা ছেলের যুগলবন্দি। এই পোস্ট করে প্রসেনজিৎ লিখেছেন, 'প্রত্যেকটা বছর তোমার বয়স কমে যাচ্ছে.. শুভ জন্মদিন বাবা। আমার ওপর তোমার বিশ্বাস রোজ আমায় উজ্জীবিত করে। খুব ভাল থেকো।'
প্রসঙ্গত, কাজের সূত্রে বেশিরভাগ সময়েই কলকাতায় থাকতে হয় প্রসেনজিৎতে। বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় পাকাপাকিভাবে মুম্বইয়ের বাসিন্দা এখন। সবসময় একসঙ্গে সময় কাটানো হয় না বাবা-ছেলের। তবে একাধিক সাক্ষাৎকারে নিজের বাবার কথা, স্মৃতির কথা বলেছেন প্রসেনজিৎ।
সময় পেরিয়েছে। নিজেও বাবা হয়েছেন প্রসেনজিৎ। বাবা হিসেবে মিশুককে এমন কী দিতে চান যা নিজে কখনও বাবার থেকে পাননি? একসময় সাক্ষাৎকারে এবিপি লাইভের এই প্রশ্নের উত্তরে প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, 'বাবার থেকে পাইনি এমন কিছু নেই। সব ঘরে ঘরেই বাবা ছেলের সম্পর্ক একই রকম হয়, আলাদা করা যায় না। তবে আমি যে আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, চেষ্টা করব মিশুককে যেন ওই কষ্টটা না করতে হয়। কিছুদিন আগেও মিশুক বাড়ি এসেছিল, আমায় বলল ও কোনও ছবির কাজে সহকারী হিসেবে থাকতে চায়। আমি বললাম, 'তাহলে তোমাকে প্রযোজক এডিটরের জন্য যে গাড়িটা দেবেন তাতে করেই যেতে হবে। তুমি যেখানেই যাচ্ছো, সেখানে জানবে তুমি বুম্বাদার ছেলে। কিন্তু তোমায় জানতে হবে আমাদের টেকনিশিয়ান বা পর্দার পিছনে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা ঠিক কতটা লড়াই করেন। একজন তারকার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ইন্ডাস্ট্রিকে দেখলে চলবে না, শিকড়টা দেখতে হবে তোমায়। মিশুক ওই শিকড়টা জানুক, বুঝুক আগে, তার পরে কেরিয়ার বেছে নিক।'