নয়াদিল্লি: সাইবার প্রতারণার (Cyber Fraud) শিকার বলিউড অভিনেতা (Bollywood Actor) আফতাব শিবদাসানি (Aftab Shivdasani)। খোয়ালেন দেড় লক্ষ টাকা। একটামাত্র টেক্সট মেসেজ, তার লিঙ্কে ক্লিক করতেই অঘটন। রবিবার এমনভাবেই প্রতারণার শিকার হলেন অভিনেতা। 


সাইবার প্রতারণার শিকার আফতাব, খোয়ালেন দেড় লক্ষ টাকা


মঙ্গলবার জানা যায় ফোনে একটি টেক্সট মেসেজ পান আফতাব শিবদাসানি। সেখানে তাঁর প্রাইভেট সেক্টর ব্যাঙ্কের সঙ্গে লিঙ্ক থাকা অ্যাকাউন্টের 'KYC' (Know Your Customer) বিবরণ আপডেট করতে বলা হয়। পুলিশ সূত্রে মিলেছে এমনই খবর। 


ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। পরের দিন এই নিয়ে একটি মামলাও রুজু করা হয়েছে। বান্দ্রা পুলিশ স্টেশন সূত্রে জানা গেছে। এক পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, 'অভিনেতা তাঁর ফোনে এক অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ পান। সেখানে তাঁকে বলা হয় যে ব্যাঙ্কের সঙ্গে লিঙ্ক করা KYC বিবরণ আপডেট করতে হবে নয়তো তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই মেসেজে দিয়ে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করেন অভিনেতা আফতাব শিবদাসানি। নির্দেশ মেনে কাজ করতেই তাঁর ফোনে অপর একটি মেসেজ ঢোকে যেখানে লেখা ছিল তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১,৪৯,৯৯৯ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।'


এরপর অভিনেতা সোমবার ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী, পুলিশে অভিযোগ জানান। খবর পুলিশ সূত্রে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা সমেত, আইটি অ্যাক্টের একাধিক সেকশনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। আফতাব শিবদাসানি বলিউডে 'মস্ত', 'মস্তি' ও 'হাঙ্গামা'র মতো একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে কাজ করেছেন। 


আরও পড়ুন: 'Phaguner Mohona': 'ফাগুনের মোহনা' ধারাবাহিকে নতুন চরিত্রের প্রবেশ, নয়া রূপে দেখা যাবে ঋজুকে


এই প্রথম নয়, এর আগেও ব্যাঙ্ক প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে যেমন সাধারণ মানুষ আছেন, তেমনই আছেন একাধিক তারকারা। গত মে মাসে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির শিকার হন প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য। অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ৫ লক্ষ টাকা। গল্ফগ্রিন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ব্যাঙ্কের তরফে পুরনো অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করে খুলে দেওয়া হয়েছিল নতুন অ্যাকাউন্ট। পাসবুক আপডেট করতে গিয়েই তাঁর অ্যাকউন্ট থেকে টাকা গায়েবের বিষয়টি সামনে আসে। দেখা যায়, অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেছে ৫ লক্ষ টাকা। এরপরই, গল্ফগ্রিন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুব্রত ভট্টাচার্য। পার্ক স্ট্রিটের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের শাখাতেও লিখিত আকারে অভিযোগ জমা করেন তিনি। সুব্রত ভট্টাচার্যের দাবি, টাকা গায়েব হওয়ার আগে ফোনে আসেনি কোনও ওটিপি। ফলে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও লক্ষ লক্ষ টাকা।